বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে সিলেটের বিশ্বনাথের ১০টি হাওর ও খাল উদ্ধার এবং পুন: খননের দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বাঁচাও হাওর আন্দোলনের উদ্যোগে এ মনাববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন-বিশ্বনাথের অধিকাংশ খাল ভরাট ও অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। ফলে দীর্ঘ ১০/১৫ বছর ধরে বিশ্বনাথের অধিকাংশ হাওরের কৃষি জমিতে আবাদ করা যাচ্ছে না। হাজার হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি ও বিরানভুমিতে পরিণত হয়েছে। ফসল উৎপাদন থেকে ব্যাহত হচ্ছে বিশ্বনাথবাসী। বাড়ছে বেকারত্ব ও মানবিক দুর্যোগ। অবিলম্বে বিশ্বনাথ উপজেলার রহিমপুর মৌজা (জেএল নং ২৫), হরিপুর মৌজা (জেএল নং ২৮), কর্মকলাপাতি (জেএল নং ৩০) এনায়েতপুর মৌজা (জেএল নং ২৬) ও খুরমা মৌজা ( জেএল নং ৩৭) কৃষি জমি আবাদের জন্য ভরাট হয়ে যাওয়া খাল ও হাওর পুন: খনন করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, খাল পুন: খননের সাথে ইসলামাবাদ মৌজার দখলকৃত স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। নতুবা আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া পানি নিষ্কাশন ও নৌ চলাচলের সুবিধার জন্য হরিপুর বড় খাল ও রহিমপুর রামপুর খাল পুন: খননেরও জোর দাবি জানান বক্তারা।
বাঁচাও হাওর আন্দোলনের বিশ্বনাথ উপজেলার আহবায়ক সাজিদুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে ও বাঁচাও বাসিয়া নদী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক মো. ফজল খানের সঞ্চালনায় মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সিলেট জেলার আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কীম, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম নবেল, ঘাস প্রকাশনীর সত্তাধিকারি কবি নাজমুল হক নাজু।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য সজ্জাদ আলী, গৌছ আহমদ, খায়রুল ইসলাম কবির, বিশিষ্ট মুরব্বী আফতাব আলী, লতিফ আলী, মোজাহিদ মিয়া (মাজাই), দিলোয়ার হোসেন, আব্দুল কাদের মোল্লা, আলকাছ আলী, আরশ আলী, কালা মিয়া, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, দিলোয়ার হোসেন ধলা মিয়া, আব্দুল্লাহ, জাবেদুর রহমান, তোরণ মিয়া, ফজর আলী, মনসাদ আলী, আব্দুল খালেক, ময়না মিয়া (মোতয়াল্লি) সিদ্দিক আলী, সাইদুর রহমান বাবুল, মাসুক মিয়া, হাবিবুর রহমান, তাজ উদ্দিন আহমদ কিনু, আব্দুল হান্নান, সেলিম আহমদ, আফরোজ মিয়া, আব্দুর রশিদ, রফিক মিয়া, ওয়ারিছ আলীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।
মানববন্ধন শেষে খাল সংস্কার ও পুন: খননের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সন্দীপ কুমার সিংহ।