সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:০৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নিজ ঘর থেকে সুজন মিয়া (১৯) নামে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় সুজনের ঘর থেকে বেশ কিছু ঘুমের ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের চৌধুরীবাড়ির মাঝিপাড়া এলাকা থেকে সুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্ত্রীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহের জের ধরেই সুজন আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা পুলিশের।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, একে-অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করে সুজন ও কেয়া আক্তার। বেশ কয়েকদিন ধরে স্ত্রী কেয়া আক্তারের সঙ্গে দাম্পত্য কলহ চলছিল সুজনের। শনিবার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার একপর্যায়ে আত্মহত্যা করে সুজন।
তবে নিহত সুজনের বাবা আবুল কালাম বলেছেন, স্ত্রী কেয়া আক্তার সুজনকে হত্যা করেছে। সুজন কোনো প্রকার নেশা করত না। অথচ মৃত্যুর সময় সুজনকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। আমার বিশ্বাস সুজনের স্ত্রী কেয়ার সঙ্গে অন্য কারও সম্পর্ক রয়েছে। তাই ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে সুজনকে হত্যা করেছে কেয়া। এ বিষয়ে অভিযোগ দিতে পুলিশের কাছে গিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু আমাদের মামলা না নিয়ে থানা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শাহীন শাহ পারভেজ বলেন, সুজনের মরদেহ উদ্ধারের সময় তার পাশ থেকে কিছু ঘুমের ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের ধারণা সুজন আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু সুজনের বাবা স্ত্রী কেয়া আক্তারের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেছেন। তাই মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
সুজনের পরিবারের মামলা না নেয়ার বিষয়ে ওসি বলেন, এমন অভিযোগ মিথ্যা। হত্যার অভিযোগ করলে অবশ্যই মামলা নেয়া হবে। তবে তার পরিবার জানিয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd