সিলেট ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:১০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৯
ক্রাইম প্রতিবেদক :: সিলেট নগরীর ৮নং ওয়ার্ড সিটি আখালিয়া হাওলদার পাড়ায় রাইফেলস ক্লাব (ভুতু) টিলায় শুধু রাতে নয় দিনের আলোতেও প্রকাশ্যে চলছে টিলা কাটা। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে টিলাকেটে সমান করে ফেলা হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে দিনে ও রাতে সমান ভাবেই চলছে এই টিলাকাটার ধুম। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রশাসনকে জানানো হলেও তাদের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেই বলেও অভিযোগ করছেন তারা। আগেও এইভাবে আখালিয়ার মজুমদার টিলাসহ আশপাশে টিলাকাটার অভিযোগ আসলে জেলা প্রশাসকসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গিয়ে সেখানে পরিদর্শন করেন ও টিলাকাটায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে সাইনবোর্ডও বসান।
তবে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, অজিত তালুকদার প্রভাবশালী নেতা বিজিত চৌধুরীর আত্মীয় উল্লেখ করে প্রকাশ্যে দিন রাত টিলা কেটে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দেদারছে চলছে রাইফেলস ক্লাব টিলা কাটা। সেখানে ৬টি ট্রাক দিয়ে টিলা কেটে মাটি ভরাট করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখন আর আগের মতো টিলা নেই। টিলা কেটে তৈরি হচ্ছে প্লট। কিছু কিছু টিলার অবস্থা ভালো থাকলেও সেগুলোও গিলে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কৌশলে টিলার পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে খুপড়ি ঘর। সেই খুপড়ি ঘরে টিলাকাটার সাথে জড়িতরা বসে থাকেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, এসব টিলা কাটার বিষয়টি একাধিকবার প্রশাসনের নজরে দিয়েছেন এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে টিলা না কাটার জন্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও থেমে নেই এই টিলা কাটা।
পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের যোগসাজশে শুধু রাতে নয় দিনের আলোতেও প্রকাশ্যেই টিলা কাটা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় টিলাকাটার সম্পূর্ণ কাজ নিয়ন্ত্রন করছেন অজিত তালুকদার। তবে অজিত তালুকদারকে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিজিত চৌধুরী বলেন, অজিত তালুকদার আমার আত্মীয়। তবে টিলাকাটার বিষয়ে যে রকম রটানো হচ্ছে ব্যাপারটা তেমন না। সেই টিলার বেশীর ভাগ অংশই আগে থেকে কাটা ছিলো। এছাড়া আশপাশের মানুষেরাই বাকি গুলো কাটছেন। আমার অনেক পরিচিতই থাকতে পারেন। আমি এভাবে আমার নাম নেওয়ার জন্য নিষেধ করেছি।
এ ব্যাপারে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, টিলাকাটার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই আমাদের কাছে মামলা রয়েছে। এছাড়া আমরা নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সেটার বিষয়ে ব্যবস্থা নেই। পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরও এই বিষয়ে কাজ করছেন।
সিলেট পরিবেশ অধিপ্তর কার্যালয়ের পরিচালক মো ছালাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা ওই জায়গাতে লোক পাঠাবো।
সিলেট জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল হক বলেন, আমাদের মোবাইল কোর্ট অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কয়েকদিন আগেও আমরা উপজেলা পর্যায়ে ভিডিও কনফারেন্স করেছি এই সব ব্যাপারে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি এসব বন্ধে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd