সিলেট ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:২৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০১৯
যারা একজন নিরপরাধীকে বলে বেয়াদব, সেইসব বেয়াদবদের জ্ঞাতার্থে এই লিখাটি অত্যাবশ্যক।
“বাকি যদি কিছু থাকে- খুশি আমি ভাই, শুঁকে যাহা পাই- সবই আমি খাই।”
সাবেক মন্ত্রীর অনুসারী সকল দালালরা, এরা কারা-? কোন দলের, কিই’বা তাদের পরিচয়-? কখনো জামাতের পক্ষে কাজ করে নৌকাকে ফুক্কা করে,, কখনও বি,এন,পি’র পক্ষে থেকে তাদের ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে ধাক্কা মেরে জয়ের মালা ভরে, কখনো আবার বামপন্থীদের বগলের নিছে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে থাকে, কখনও ১/২ হাজার টাকার বিনিময়ে জামাত/বি,এন,পি’র এজেন্টদের পা-চুষে আওয়ামী তৃণমূল নেতাকর্মীদের পুলিশি হয়রানী করে, মিথ্যে মামলা দিয়ে জেলে পুতে, আবার সেই এজেন্টদের সাথে নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে উপহাস করে।
আবার এই- নির্লজ্জরা মাথা উঁচুকরে, নিজেকে তারা মুজিব সৈনিক দাবী-করে।, নাহিদ ভাই, প্রীয় ভাই, প্রীয় নেতা-বলে বগলের ভিতর নাক ডুবিয়ে লোকালুকি করে। কিন্তু তারা অবশ্যই জানে যে, তাদের বায়োডাটা তৃণমূল সবাই জানে। এবং সবাই এটাও জানে যে, এইসব ভাসমান উদীত্ পরধনলোভী বেপারীরা বর্তমান সরকারের ১০ বছরের মধ্যে বিগত তিন বছর ব্যতীত, আগের-যে সাত বছর এবং তার-আগের বছরগুলাতে দলের দুঃসময়ের এই চাটুকারা কোথায় ছিলো-? আজ থেকে, মাত্র “আড়াই-তিন বছর পুর্বে আজকের এই সৈনিকরা মুজিব সৈনিক হিসেবে দুঃসাহস দেখিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে। সাবেক মন্ত্রীর সাথে এদেরকে মাত্র ৩’বছর আগে কেউ- কোথাও দেখেছেন বলে মনেহয়না-। কিন্তু তারা ঠিকই তার আগে, অন্য আরেকজন নেতার বগলের নিছে সাবান লাগাচ্ছিলো। তখন তিনি, তাদের খুবই প্রীয় ছিলেন। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, শেষপর্যন্ত লুটপাটের কোনো সুবিধা করতে না-পেরে, তিনাকে তারা অসহায় কতে ছেড়ে চলেএলো। পলকেই তিনি আজকের এই দালালদের কাছে হয়েগেলেন অপ্রীয়। আজ তারা যারকাছে মনোমতো সুবিধা পাচ্ছে, তিনি হলেন তাদের এখন সবচেয়ে প্রীয়। অবশ্য যতদিন সুবিধা পাবে ততদিন, মোটামুটি সেইদিন চলে এসেছে।
প্রীয়কে- অপ্রীয় করে, আবার নতুনকে প্রীয় বানিয়ে লুটপাট করা আজকের দালাল চামচাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে-? রমরমা বাণিজ্যতরী বানিয়ে ফেলেছে। যেটাকে বলে “নিমক হারাম-। যার খায়, আবার তার পিছন দিয়ে বাশ ঢুকায়”-!! আমি নিজে সাক্ষী-।
সেই আগের প্রীয় নেতাকে তারা তাদের স্বার্থের কারনে তিনার বগলে সাবানের বদলে আঠা লাগিয়ে-দিতে কোনই দ্বিধাবোধ করেনা। নতুন প্রীয় নেতার বগলের নিচে সাবান আর সরিষার তেলে নাক-চুবিয়ে হামাগুড়ি খেতে বিন্দুমাত্র লজ্জা করেনা। ইদানিং আবার দেখাযাচ্ছে তেল আর তেল, মাখানোর জায়গা নেই, তারা কেমনজানি দিশেহারা। কারন, টি’আর কাবিখায় অতিশীঘ্রই মহামারি দেখাদিচ্ছে। সাবেক মন্ত্রীর মন্ত্রীত্ব নেই–
“বগলের তলা খুলা,
তাই তারা এখন লোলা”।
কোনো উপায়ন্তর না-দেখে, তাদের মরা অন্তর দিয়ে, মন্ত্রীর সাথে ঢলিয়ে মলিয়ে ছবি তুলে নিজেকে উজ্জীবিত রাখছে, আর আমার-নেতা, মায়ার নেতা, প্রীয় নেতা বলে আরেকটি নতুন ভণ্ডামি শুরু করেছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, সাবেক মন্ত্রী আওয়ামীলীগের নেতা কবে ছিলেন-? আর এইসব পোষা চামচারা কবে সক্রিয় কর্মী ছিলো-? এদের কি-এমন যোগ্যতা আছে-? এরা কি সুশিক্ষায় দীক্ষিত, নাকি ইদিক-সিদিক খেটাখাওয়া বেপারী-?
যারা সম্পূর্ণ আদর্শহীন, অন্তর, চরিত্রহীন। একজন শিক্ষামন্ত্রীর, ২/৪’টা চরিত্রহীন মানুষ বুঝারও কি ক্ষমতা নেই-? জানা দরকার ছিলোনা না-কি, এরা কারা-? এদেরকে নিয়ে পথচলার যুক্তিকতা আছে কি নাই-? মানুষের কাছে এদের কি কোনো গ্রহণযোগ্যতা আছে-? এখনও দেখছি, তারা ছবির সাথে ছবি তুলে মালা ঝুলাচ্ছে। না-কি, সাবেক মন্ত্রী জেনেশুনে তাদের সাথে শরীক হয়ে কাঁধেকাঁধ মিলিয়ে চলেছেন এবং আজও চলতে চাচ্ছেন-? যাহা জানা সকলের জন্য আরো-বেশী জরুরী। দৈনিক, তিনি যাদের সৈনিক বানিয়েছেন–
“এরা কিসের সৈনিক-?
যাদের স্বার্থ আগে, ব্যক্তি পরে–
যাহা-পাই-খাই সব দৈনিক”।
অথচ, আমাদের দলের দুঃসময়ে কোনদিন, কক্কনও এদের উপস্থিতি বা অস্থিত্ত্ব খুজে পাওয়া যায়নি। আন্দোলনে, মিছিলে, মিঠিং-এ কেউ তাদের কোনোদিন দেখেছেন বলে মনেহয়’না। আজকের মন্ত্রীত্বহারা এই শিক্ষামন্ত্রীও ছিলেননা-। কি তাজ্জুব দুনিয়া-! আসল ছাড়া সকল নকলের ঝনঝনানি আর ভণ্ডামি। সাবেক মন্ত্রীর ফালতু নেতাকর্মীদের বন্ধন এমন পর্যায়ে পৌছেছে, দেখে মনেহয় জন্মলগ্ন থেকে তারা সাবেক মন্ত্রীর একান্ত সহোদর। রাজপথের সাথী। এমনভাবে একেরপর-এক, ছবি তুলে, ছবি খুলে, ছবি উঠিয়ে, ছবি বসিয়ে সম্প্রচার করছে, আর বেহায়া নির্লজ্জের মতো ফেইসবুকে বারবার ফালফাড়তেছে, দেখে মনেহচ্ছে এই মন্ত্রণালয় তাদের বাপদাদাদের তাল্লুক। আর সেই তাদের বাপদাদাদের কতোগুলা না-লায়েক সন্তান আছে, যাদের আচরন শিয়াল আর শকুনিদের মতো। যারা,–
বিগত ১০ বছর থেকে গরিবের মাল লুটপাট করেছে, খাই-খাই করে গরিবের বরাদ্দ খেয়েছে, এখন আরো খাই, আরো চাই বলে, রাস্তাঘাটে, গাছের তলে, বনে- জঙ্গলে পড়ে কামড়া-কামড়ি আর মারামারি করছে, সেই অলৌকিক তাল্লুকের জন্য দালালরা এতই নির্লজ্জ বেহায়া হয়েছে, যেনো, নর্দমার শুকরের মতো মুখ উচুকরে গন্ধ শুঁকছে আর বলছে,–
বাকি যদি কিছু থাকে–
খুশি আমি ভাই,
খুজে যাহা পাই–
সবই আমি খাই-।
তাদের এইসকল ঘৃণিত আচরন আজ সকল টুকাই, মজলুম ভিখারিদেরও হার মানিয়েছে।
বি:দ্র: আমার লিখার জন্য কেউ যদি আমাকে বেয়াদব মনেকরে, তাহলে আপত্তি নেই। বরং দয়ালের কাছে কৃতজ্ঞ, এরকম বেয়াদব আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকতে চাই।
জয় বাংলা, জয় শেখ হাসিনা-।
লেখাটি যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা ফলিক খানের টাইমলাইন থেকে সংগৃহীত।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd