সিলেট ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৪১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০১৯
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাটে সরকার কর্তৃক অর্পিত সম্পত্তি দুভাগ করে ‘ক’ এবং ‘খ’ তালিকায় গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এতে করে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রকাশিত অর্পিত সম্পত্তি তালিকার গেজেট প্রকাশ কালে ‘খ’ তালিকাভুক্ত জমি ভুল ভাবে ‘ক’ তালিকাভুক্ত হওয়ায় দোকর সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। এতে করে ‘খ’ তালিকার গেজেটভুক্ত জমির সুবিধা প্রাপ্তি হইতে বঞ্চিত এলাকাবাসী। একই সাথে সরকারি রাজস্বও আদায় হচ্ছে না।
‘খ’ তালিকার গেজেটভুক্ত ভূমিতে মালিকগণ যথাযথ কাগজপত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে নামজারী, ভূমি উন্নয়ন, কর পরিশোধের জন্য সরকার পরিপত্র জারী করেছেন। একারণে গরিব অসহায় জনসাধারণ জমিজমার মালিকানা প্রাপ্তি দূরের কথা বর্তমানে দোকর তালিকাভুক্ত গেজেট প্রকাশের কারণে এলাকার ভূমিখেকোরা বিভিন্ন সূত্র ধরে মানুষজনের জমি জমা দখলের চেষ্টা করছে। সাধারণ মানুষ এঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ও হয়রানীর পাশাপাশি সরকারের ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২১ তারিখে সভায় গৃহীত প্রস্তাব মতে ‘খ’ তালিকায় সংশোধিত গেজেট সংশোধনী ভুল হওয়া সম্পত্তির পূর্ণা-ঙ্গ তালিকা তিন মাসের মধ্যে প্রস্তুত-ক্রমে ভূমি মন্ত্রণালয় প্রেরণের নিমিত্তে ১৬/১১/২০১৬ইং তারিখের স্মারক নং- ৩১-০০.০০০০.০৪৫.৫৩.০৪৩.১৪-৩৯৫ (৭৩) নং জেলা প্রশাসকগণকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এই আদেশের প্রেক্ষিতে সারাদেশের ন্যায় সিলেটের জেলা প্রশাসকও বিভিন্ন উপজেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ২২/০২/২০১৭ইং তারিখ স্মারক নং ০৫.৪৬.৯১০০.০০৮.৩৪.০০৫.১২.৭৭ (২) (কপি সংযুক্ত) সিডিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (তালিকা) সিনিয়র সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয় বরাবরে পাঠান। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এখনো বিষয়টির কোন সমাধান কিংবা সংশোধিত গেজেট প্রকাশ করা হয়নি।
এমতাবস্থায় ‘খ’ তালিকার গেজেট যথারীতি সংশোধন করার জন্য এলাকাবাসীর দাবী জানিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। এলাকাবাসী পক্ষে স্মারকলিপি প্রদান করেন ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী আব্দুল হাফিজ। একান্ত আলাপকালে ভুক্তভোগী আব্দুল হাফিজ, হেনরি লামিনসহ একাধিক ভূমি জটিলতার স্বীকার ব্যক্তিবর্গ জানান, বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। গোয়াইনঘাটের মানুষের জমি জমার বিরোধ নিষ্পত্তির পরিবর্তে উক্ত বিষয়টি কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলাকার বিভিন্ন ভুমিখেকো চক্র জনসাধারণের জমি জমা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি সরকারের ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান থেকেও আমরা বিরত রয়েছি। ইউনিয়ন ভূমি অফিস সমূহে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে চাইলেও বিদ্যমান এই জটিলতার কারণে কর্তৃপক্ষ আমাদের খাজনাগুলো নিচ্ছেন না। ফলে সরকারের ভূমি থেকে রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়াও মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বিষয়টির দ্রুত সমাধানে এলাকাবাসী কর্তৃপক্ষের বরাবরে আবেদন করেছেন বলে জানান।
এব্যাপারে কথা হলে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার পাল জানান, গোয়াইনঘাটের অর্পিত সম্পত্তির জটিলতার বিষয়টি অবহিত হয়েছি। বিষয়টি নিষ্পত্তিকল্পে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে আমরা লিখিত ভাবে অবহিত করেছি। বিষয়টি সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd