সিলেট ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৫১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর (১৫) আত্মহত্যার ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌসসহ তিন শিক্ষককে বরখাস্ত এবং তাদের এমপিও বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে এই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনা’র অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বুধবার (৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান।
অভিযুক্ত অপর দুই শিক্ষক হলেন, প্রভাতী শাখার প্রধান জিন্নাত আরা এবং শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনা।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ভিকারুননেসা স্কুলের দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রতিষ্ঠানটির সব ধরণের অনিয়ম উঠে আসছে। অভিভাবকরাও নানা অনিয়মের কথা বলেছেন। ঐ ঘটনার জন্য দায়ী ৩ জনের নাম এসেছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করেছে কমিটি। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তাদের বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার (২ ডিসেম্বর) পরীক্ষায় নকল করে ধরা পড়েন অরিত্রী অধিকারী নামে ভিকারুননিসার নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। সোমবার দুপুরে ঢাকার শান্তিনগরের বাসায় নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে সে।
স্বজনদের দাবি, ওই ঘটনার পর অরিত্রীর বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে ‘অপমান করেছিলেন’ অধ্যক্ষ। সেই কারণে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd