সিলেট ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৫৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০১৮
ক্রাইম প্রতিবেদক :: সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরামা বাস টার্মিনাল এলাকায় মামুন পরিবনের দ্বীতিয় তলায় অবস্তিত হোটেল কাশমীর নামক মিনি পতিতালয়ে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। হোটেল মালিক তৌফিক নিজে মামুন কাউন্টারের ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকার সুবাদে বেপরোয়া ভাবে চলছে ওই হোটেলে পতিতা বাণিজ্য সহ সকল ধরণের অসামাজিক কার্যকলাপ। জানা যায়, দির্ঘদিন থেকে বাস টার্মিনাল এলাকার মামুন কাউন্টারের ভিতরে সিড়ি দিয়ে দ্বীতিয় তলায় ওই একটি হোটেল তৈয়রী করে কাউন্ডারের ম্যানেজার ও বিলডিংয়ের মালিক তৌফিক মিয়া। আর ওই হোটেলকে করা হয় একটি মিনি পতিতালয়। মোটা অংকের টাকা অগ্রিম নিয়ে ওই সাত ভাড়া দেওয়া হয় আরও এক পতিতা দালাল রিপনকে। রিপন রুম গুলো ভাড়া নেওয়ার পর সিটি কর্পোরেশেনের অনুমতি না নিয়ে হোটেল কাশমির নাম লিখে সাইনবোর্ড জুলিয়ে ব্যবসা শুরু করে। কিছু দিন পর বানানো হয় মিনি পতিতালয়। শুরু হয় তাদের অসামাজিকতা। কিন্ত এই অসামাজিক আস্তানায় থানা পুলিশের কোন অভিযান এখন পর্যন্ত হচ্ছে না বলে জানা গেছে। যার ফলে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মালিক তৌফিক মিয়া তিনি নিজে মামুন কাউন্ডারের ম্যানেজারের দ্বায়িত্ব থাকার সুবাদে প্রশাসনে চোঁখ ফাঁকি দিয়ে চালিয়ে চাচ্ছেন অসামাজিক কার্যকলাপ। এমন কোন কিছু নাই যে সেই হয় না। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই মামুন কাউন্টারের দ্বীতিয় তলায় কয়েকটি রুম ভাড়া নিয়ে মাদক,জুয়া ও পতিতার আস্তানা গড়ে উঠেছে। পুলিশ মাঝে মধ্যে ওই এলাকায় অভিযান দিয়ে আটক করলেও জামিনে বেরিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠে তারা। এখন একদম নিরুপায় হয়ে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন স্থানীয়রা। এ ব্যপারে হোটেলের ভাড়াটিয়া রিপন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি শিকার করে বলেন, জুয়া হয় মালিকের ৩য় তলার উপরে আর হোটেল হচ্ছে দ্বীতিয় তলায়। রিপন আরও বলেন মাঝে মধ্যে পতিতাদের হোটেলে তোলা হয় একথা শিকার করে।
উল্লেখ্য : গত (২৪ সেপ্টেম্বর) সোববার সন্ধায় দক্ষিণ সুরমা থানাধীন কদমতলী বাস টার্মিনালের ওই হোটেল কাশ্মীর থেকে জুয়া খেলার সামগ্রী সহ ওই পাঁচ জুয়ারীকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। ওই জুয়া খেলার নেতৃত্বে ছিলেন তৌফিক কিন্তু পুলিশ টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত পুলিশ তাকে আটক করতে পারেনি। সে এখনও বহাল তবিয়তে আছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd