চাঞ্চল্যকর হত্যার রহস্য উদঘাটন করলেন জগন্নাথপুর থানার এসআই হাবিব

প্রকাশিত: ৮:৩৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০১৮

চাঞ্চল্যকর হত্যার রহস্য উদঘাটন করলেন জগন্নাথপুর থানার এসআই হাবিব

Manual2 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের পৌর এলাকার দিঘীরপাড় এলাকার বাসিন্দা লন্ডন প্রবাসী আব্দুল গফুরের হত্যাকারীদের প্রধান আসামীর জবানবন্দি। আটক তিন আসামীর মধ্যে প্রধান আসামি আবুল কালাম আজাদ সহ দুইজন আসামি লন্ডন প্রবাসী আব্দুল গফুরকে হত্যা করিয়া লাশ সিলেট জৈন্তাপুর উপজেলার মোকামটিলায় মাটি চাপা দিয়ে (লাশ গুম করে) মর্মে বিজ্ঞ জুডিসয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সুমামগঞ্জ আদালতে কাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে প্রধান আসামী আবুল কালাম।

হারানো জিডি তদন্ত করে ১৮ মাস আগের চাঞ্চল্যকর লন্ডন প্রবাসীকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করলেন জগন্নাথপুর থানার সেকেন্ড অফিসার হাবিবুর রহমান, মুল তোহা সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেন।

উল্লেখ্য : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের পৌর এলাকার দিঘীরপাড় এলাকার বাসিন্দা লন্ডন প্রবাসী আব্দুল গফুরের লাশের অবস্থান সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় সনাক্ত করা হয়েছে।

১০ লক্ষ টাকার লোভে বাংলাদেশী বংশধূত বৃটিশ নাগরিক আব্দুল গফুর (৫৫)-কে নির্মমভাবে হত্যা করে পাষন্ড দুবৃত্তরা লাশ মাটিচাপা দেয়। এ ঘটনায় জড়িত ৩ ঘাতককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার গ্রেফতারকৃতদের সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়- জগন্নাথপুর গ্রামের মদরছ উল্লার ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল গফুর ২০১৭ সালে দেশে আসেন। সিলেটের দরগাহ গেইট এলাকার রাজমনি হোটেলে তার সাথে পরিচয় হয় জৈন্তাপুর উপজেলার কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের অফিস সহায়ক আবুল কালামের সাথে। সেখানে তিনি সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৮ মে আবুল কালামের ফোন থেকে তার বন্ধু জগন্নাথপুর গ্রামের নুরল হককে রাজমনি হোটেলে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু পারিবারিক ব্যস্ততা থাকায় তিনি যেতে পারেননি। দেশে আসার দীর্ঘদিন পরও আব্দুল গফুরের খোঁজ খবর না পেয়ে তার ভাগিনা লালা মিয়া ওই মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করে জগন্নাথপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি রজু করেন। ঘটনার তদন্তে নামেন জগন্নাথপুর থানার সেকেন্ড অফিসার হাবিবুর রহমান। তিনি প্রযুক্তির ব্যবহার করে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালান।

Manual4 Ad Code

রবিবার বিকেলে তিনি জৈন্তাপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে জৈন্তাপুর কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউটের অফিস সহায়ক আবুল কালাম তার আত্মীয় জৈন্তাপুর ডিএস দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ও জৈন্তাপুরের বাসিন্দা জুনায়েদ আহমদকে জৈন্তাপুর থানা পুলিশের সহযোগীতায় গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা লন্ডন প্রবাসী আব্দুল গফুরকে হত্যা করে মোটা অংকের টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার ও তার লাশ মাটিচাপা দেয়ার স্থান দেখায়। পরে ওই স্থানে পুলিশ লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করে পাহাড়াদার নিয়োগ করেছে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সিলেটের দরগাহ এলাকায় রাজমনী হোটেল থেকে আব্দুল গফুরের ব্যাগ উদ্ধার করা হয় এবং তাদের বাড়ি থেকে প্রবাসীর পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।

Manual7 Ad Code

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, এই ঘটনা ডায়েরী ভূক্ত হওয়ার পর আমরা গুরুত্ব দিয়ে জোর তদন্ত করে এই লোমহর্ষক হত্যাকান্ডে জড়িত ঘাতকদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জ্ঞিগাসাবাদে মোটা অংকের টাকার লোভে হত্যা কান্ডের জড়িত থাকার কথা স্কিকার করেছে।

Manual3 Ad Code

জগন্নাথপুর থানার সেকেন্ড অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক হত্যাকান্ডের ঘটনার রহস্য আমরা উদঘাটন করে মুলহোতাদের আটক করেছি। মোটা অংকের টাকার লোভে লন্ডন প্রবাসীকে হত্যা করে লাশ জৈন্তাপুর মোকামটিলায় মাটিচাপা দেয় দুবৃত্তরা।

Manual7 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..