সিলেট ৪ঠা মার্চ, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ | ১৯শে রজব, ১৪৪২ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:১৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
Sharing is caring!
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি : সিলেট সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ছালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর কোমলমতি শিক্ষার্থী সৃষ্টি দাস নামের শিক্ষার্থীকে অমানবিক ভাবে বেত্রাঘাত করেছেন ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছাবিনা বেগম। সৃষ্টি দাসের পিত শংকর দাস জানান তার মেয়ে সৃষ্টি দাস পড়া ও লেখায় খুব মনযোগী। সে নিয়মিতভাবে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। তার লেখা পড়ার জন্য বাড়ীতেও একজন শিক্ষক রয়েছেন। প্রতিদিনের ন্যায় রবিবারেও বিদ্যালয়ে যায় তার মেয়ে। ওইদিন শ্রেণী কক্ষে সকল শিক্ষার্থী হৈচৈ করছিল হঠাৎ সহকারী শিক্ষিকা ছাবিনা শ্রেণী কক্ষে প্রবেশ করে সৃষ্টি দাসের উপর বেদড়ক বেত্রাঘাত শুরু করেন। এ সময় পাশের কক্ষের শিক্ষক দৌড়ে এসেও ছাবিনার হাত থেকে ওই শিক্ষার্থীকে রক্ষা করতে পারেননি। ছাবিনা বেগমের বেত্রাঘাতে কোমলমতি এ শিক্ষার্থীর শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত করণ হয়।তিনি ডাঃ দেখিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন সৃষ্টি দাসের জানান।
এ ব্যাপারে ছালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছাবিনা বেগম এ প্রতিবেদকে জানান রবিবার ৩য় শ্রেণী কক্ষে শিক্ষার্থীরা খুব হইচই করছিল হঠাৎ আমার মাতা গরম হয়ে আমি সৃষ্টি দাসকে বেত্রাঘাত করি। আসলে এ ভাবে তাকে বেত্রাঘাত করা আমার উচিৎ হয়নি এ বিষয়ে আমি দূংখিত। উক্ত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মফিজুর রহমান বাদশাহ বলেন সহকারী শিক্ষিকা ছাবিনা বেগম অবুঝ শিশুটির উপর যে নির্যাতন করেছেন তা দূংখজনক। আমার কাছে শিশুটিকে নিয়ে তার বাবা এসেছিলেন আমি তাকে শান্তনা দিয়ে বলেছি যথাযথ কত্পক্ষের মাধ্যমে এ বিষয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সৃষ্টি দাসের পিতা শংকর দাস বলেছেন তিনি সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার কে এ বিষয়ে অবগত করেছেন। উপজেলা শিক্ষাকর্মকর্তা বরাবরে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি আরও জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের সাথে দেখাকরার পর থেকে ওই শিক্ষিকা ও তার স্বামী আমার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা অপপ্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
………………………..
Design and developed by best-bd