সিলেট ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:১৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০১৮
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : সবুজ গালিচামোড়া চা বাগানের নয়নাভিরাম রূপ দু’চোখ ভরে শুধু দেখতেই ইচ্ছে হয়। কিন্তু যখন চা গাছের দুঃসময় ধেয়ে আসে। তখন সবুজময় চা গাছ সৌন্দর্য্য হারিয়ে হয়ে পড়ে ধূসর-ম্লান। রোগাক্রান্ত এসব গাছগুলো তখন প্রাণে বেঁচে উঠতে চায় বারবার। নতুন করে ‘দুটি পাতা একটি কুঁড়ি’ ছড়াতে চায় চা প্রেমীদের জন্য। সম্প্রতি মৌলভীবাজার জেলার চা বাগানে দেখা গেছে, একটি চারা গাছে দু’টি রোগের প্রাদুর্ভাব। মৃত্যুর প্রহর গুনছে রুগ্ন সেইসব চা গাছ।
অভিজ্ঞ টি-প্ল্যান্টার এবং বারোমাসিয়া চা বাগানের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক হক ইবাদুল সাংবাদিকদের বলেন, এ চাগাছ দু’টো রোগাক্রান্ত। প্রথম রোগটির নাম হলো: টি-টারমাইড । বাংলায় বলে চায়ের উঁইপোকা। অর্থাৎ চা গাছে উঁইপোকা আক্রমণ ঘটেছে। আর দ্বিতীয় রোগটি হলো- ফাঙ্গাস ডিজিজেস অর্থাৎ ছত্রাকজনিত রোগ। ইংরেজিতে এ ছত্রাকজনিত রোগকে বলা হয় চড়ৎরধ ৎড়ড়ঃ ফরংবধংব এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম চড়ৎরধ যুঢ়ড়ষধ ঃবৎরঃরধ।
তিনি আরও বলেন, এ ‘পুরিয়া’ ছত্রাকের কারণে শিকড় থেকে এ রোগের সৃষ্টি হয়ে আস্তে আস্তে উপরে উঠে আসে। এ রোগের দমন প্রক্রিয়া হলো- মাটিতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হবে। তবে সবচেয়ে উত্তম পন্থা হলো- ছত্রাকে আক্রান্ত চা গাছগুলো মাটি থেকে তুলে ফেলা।
টি-টারমাইড রোগ সম্পর্কে অভিজ্ঞ টি-প্ল্যান্টার বলেন, এ রোগ থেকে বাগানের চা গাছগুলো বাঁচানোর অন্যতমপন্থা হলো মাটি খুঁড়ে উইঁপোকার রানীকে খুঁজে বের করে মেরে ফেলা। উইপোকার রানী মাটি ৩/৪ ফুট গর্তের নিচে থাকে। এ রানীই লাখ লাখ বাচ্চা তৈরি করতে সক্ষম।
আমরা আমাদের চা বাগানগুলোকে টি-টাইমাইড রোগের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য উঁইপোকার রানীকে মেরে ফেলি। পুরুষ উঁইপোকাগুলো সহজে মারা যায়। কিন্তু রানী বেঁচে থাকে অনেকদিন। রানীকে মেরে ফেললেই ওই এলাকার সব উঁইপোকা মারা যাবে এবং নতুন করে জন্মানোর সুযোগ পাবে না।’
সিলেট অঞ্চলের চা বাগানগুলোর গাছে এখন ‘পুরিয়া’ ছত্রাকের আক্রমণ ভয়াবহ। এর ফলে ব্যাপকহারে চা গাছ মারা যাচ্ছে বলে জানান অভিজ্ঞ টি-প্ল্যান্টার হক ইবাদুল।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd