সিলেট ১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:০৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটে নিজেদের কর্মবিরতির নামে ব্যক্তিগত ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যানবাহন চলাচলেও বাধা দিচ্ছে পরিবহন শ্রমিকরা। রবিবার নগরীর হুমায়ূন রশীদ চত্বরে বেশ কয়েকটি ব্যক্তিগত যান আটকে দেয় শ্রমিকরা।
বাস, সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকায় এমনিতেই সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে। তার উপর ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল না করতে দিয়ে পরিবহন শ্রমিকরা মানুষের দুর্ভোগের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে কোন বাধা দেয়া হচ্ছে না।
সিলেটে আজ রবিবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘন্টা কর্মবিরতির ডাক দেয় পরিবহন শ্রমিকরা। ৮ দফা দাবিতে তাদের এ কর্মবিরতির ফলে সিলেটে সকল ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে কোন বাস ছেড়ে যায়নি।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন কোষাধ্যক্ষ মানিক মিয়া বলেন, ৮ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যেই তাদের এ কর্মবিরতি। সকাল ৬টা থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। সোমবার পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে। কর্মবিরতির ফলে সিলেটের সকল রুটেই বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।
পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সিলেটের রাস্তা মানুষের দুর্ভোগের অন্ত নেই। বাস বন্ধ থাকার পাশাপাশি সিএনজি অটোরিকশা চলাচলও বন্ধ রয়েছে। আর এ কারণে মানুষের দুর্ভোগের মাত্রা আরোও বেড়ে গেছে। এদিকে রিকসা ও ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে মানুষকে তার প্রয়োজনীয় কাজ সারতে হচ্ছে।
জানা যায়, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর কয়েকটি ধারাকে শ্রমিকদের ‘স্বার্থবিরোধী’ উল্লেখ করে আন্দোলন করছে বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। তাদের দাবি, শ্রমিকদের ‘স্বার্থবিরোধী’ ধারাগুলো বাতিল করতে হবে। গত শনিবার সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সমাবেশ করে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে ৮ দফা দাবি মানতে সরকারের প্রতি আলটিমেটাম দেয় পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক বলেন, ‘আমরা আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। স্মারকলিপিও দিয়েছি। কিন্তু সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই রবিবার সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘন্টা সারাদেশে পরিবহন শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছেন।’
এদিকে, বিগত দিনে পরিবহন শ্রমিকরা যেসব ধর্মঘট পালন করেছেন কিংবা কর্মবিরতি পালন করেছেন, তারা তাদের বাস চলাচল বন্ধ রাখার পাশাপাশি সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেটকারসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলে বাধা দিয়েছেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ।
সাধারণ মানুষরা বলছেন, কয়দিন পর পর পরিবহন শ্রমিকরা নানা অজুহাতে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ধর্মঘট ও কর্মবিরতি পালন করে। এতে চরম দুর্ভোগ আর ভোগান্তি পোহাতে সাধারণ মানুষকে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd