সিলেট ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৪৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : গর্ভধারণের অপরাধে নিজের স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেন শিল্প পুলিশের এএসআই ফিরোজ আল মামুন। পরে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে নাটক সাজিয়ে নিজেই দা দিয়ে মাথায় আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি এসব কথা জানিয়েছেন। শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইল পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থার পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম ভুইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে স্ত্রী শিল্পি হত্যার আড়াই মাস পর শিল্প পুলিশের এএসআই ফিরোজ আল মামুনকে বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইলের পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থার (পিবিআই) ইনচার্জ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বেলাল হোসেন ও পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম ভুইয়া গাজীপুরের পুলিশ লাইন থেকে গ্রেফতার করে।
গত ১৩ আগস্ট দুপুরে এএসআই মামুন মির্জাপুর পৌর এলাকার বাওয়ার কুমারজানীর নিজ বাড়িতে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শিল্পিকে। হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে নাটক সাজিয়ে নিজের মাথায় কোপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
এ ঘটনায় নিহত শিল্পির ভাই মোস্তফা এএসআই মামুনকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলাটি গত ২৩ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থায় (পিবিআই) স্থানান্তরিত হলে বৃহস্পতিবার সকালে তারা গাজিপুর শিল্প পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মামুনকে গ্রেফতার করে।
ওইদিন বিকেল পাঁচটায় এএসআই মামুনকে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল আলমের আদালতে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জাবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে মামুন উল্লেখ করেছেন, ‘সন্তান ধারণ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে স্ত্রী শিল্পির সঙ্গে ঝগড়া হচ্ছিল তার। ঘটনার দিন এ বিষয় নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে বটি দিয়ে মামুন তার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেন।’
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd