সিলেট ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:০৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলে আবারও চুরির ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে প্রথম ছাত্রী হলের ডি ব্লকের ১৩২ নম্বর রুম থেকে দুই আবাসিক শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানান সহকারী প্রক্টর জাহিদ হাসান।
তিনি বলেন, প্রশাসনিকভাবে ঘটনাটি আমাদের অবগত। আমরা তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।”
এদিকে, একের পর এক চুরির ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হলের ছাত্রীরা।
প্রথম ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নিলীমা আক্তার বলেন, হলের নিচতলার সিঁড়ির পাশের চুলার গ্রিল কেটে কয়েকজন যুবক ঢুকে পড়ে হলের ভেতর। তারা আনুমানিক রাত ২টার পর থেকে হলের মধ্যে অবস্থান নেয়। রড দিয়ে তারা ডি ব্লকের প্রতিটি তলায় কয়েকটি রুমের সিটকানি খোলার চেষ্টা করেছিল।
“নিচতলার ১৩২ নম্বর রুমের এক শিক্ষার্থী ৫টার দিকে বাথরুমে গেলে চোরের দল বাইরে থেকে তাকে তালা দিয়ে দেয়। এসময় রুমের ভেতরে গিয়ে একজন ঢুকে পড়ে। রুমের ভেতরে থাকা সজাগ অন্য শিক্ষার্থী চিৎকার শুরু করলে চোরের দল দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।”
এই হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী তানজিনা আক্তার বলেন, আমরা গতকাল তিন যুবককে হলের আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখি। সন্দেহজনক মনে হওয়ায় হল প্রভোস্টকে জানালেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
“ধারাবাহিকভাবে চুরির ঘটনা ঘটেই চলছে। আমরা হলের মধ্যে কোন নিরাপত্তা নিয়ে ঘুমাবো?”
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ছাত্রীদের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলে গ্রিল কেটে চোর ঢুকে পড়ায় চারটি ল্যাপটপ ও দুটি মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা ঘটেছিল।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন প্রক্টর জহির উদ্দিন আহমেদ। তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও তখন বলেছিলেন তিনি।
গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারির মোটরসাইকলে চুরির ঘটনায় মো. কাউসার নামের এক যুবককে আটক করেছিল জালালাবাদ থানা পুলিশ।
গেল বছর ধারাবাহিক চুরি, ছিনতাইয়ের মধ্যে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলে নিরাপত্তা নিশ্চতে দ্রæত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু চারদিকে সীমানা প্রাচীর না থাকায় এখনও চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেই চলছে।
চুরির ঘটনার পর প্রভোস্ট অধ্যাপক আমিনা পারভিন এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ হল পরিদর্শন করেছেন বলে হলে থাকা শিক্ষার্থীরা জানান।
এ বিষয়ে প্রভোস্ট আমিনা পারভিন বলেন, আমরা আলোচনায় বসেছি। তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd