সিলেট ১৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:২১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের গোয়াইনঘাট থানাধীন এলাকা গোরাগ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের মেয়ে রেশমা আক্তার (২২) কে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর পরিবারের উপর। একই গ্রামের আকবর আলীর পূত্র আমিনুল হক এর সাথে আনুমানিক ৯ মাস আগে উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মাস খানেক সময় ভালো কাটলেও পরবর্তীতে শুরু হয় রেশমার সংসার জীবনে অশান্তি। এই অশান্তির মূল কারণ যৌতুক। রেশমার স্বামী তাকে প্রতিনিয়ত বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য বলতো। রেশমা টাকা আনতে অক্ষম হলেই শুরু হত অমানবিক অত্যাচার। অবশেষে মেয়ের অশান্তি সহ্য করতে না পেরে রেশমার স্বামী হারা মা তারা মেয়ে জামাইকে অনেক কষ্ট করে ৫০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই রেশমার উপর পুনরায় নির্যাতন শুরু হয়।তার শশুর বাড়ির লোকেরা আরও মোটা অংকের টাকা দাবি করে,যা রেশমার মায়ের পক্ষে দেওয়া কোনভাবেই সম্ভব না।কিন্তু রেশমার স্বামীর করা হুশিয়ারী,টাকা এনে দিতে না পারলে প্রাণে মরতে হবে।যেই কথা সেই কাজ। গত সোমবার (৬ আগষ্ট) সকাল আনুমানিক ৯ ঘটিকার দিকে রেশমার স্বামী আমিনুল হক তাকে বেধরম মারধর শুরু করে। এসময় আমিনুল হকে সহযোগিতা করেন বাবা এবং বড়ভাই রেজাউল হক। তারা তিনজনই তাকে মারতে মারতে এক পর্যায়ে বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর পারে নিয়ে যায়,প্রাণে মেরে ফেলার জন্য। রেশমার দুটি চোখ নষ্ট করার জন্য তারা নানান ভাবে চোখে আঘাত করতে থাকে। কিন্তু অসহায় রেশমার কান্না করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিলনা। রেশমার কান্না শুনে কয়েকজন প্রতিবেশী ছুটে আসে। যার ফলে প্রাণে বাচে অসহায় রেশমা। ৭ মাসের অন্তসত্তা রেশমার কি দোষ ছিল,যার কারণে বিয়ের পর থেকেই তাকে অমানবিক অত্যাচার সহ্য করে বাচতে হয়েছে? গুরুতর রেশমা বর্তমানে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেলের ৪ তলার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। এবিষয়ে রেশমার পরিবারের পক্ষে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd