সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৩, ২০১৮
স্টাফ রিপোার্টার :: সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের খাসের গাঁও গ্রামে মসজিদ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ১২ জুন সোমবার দুপুরে ফুলতলী ও কওমী অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মহিলাসহ প্রায় ১১জন আহত হয়েছেন। তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, জালালাবাদ ইউনিয়নের খাসের গাঁও গ্রামে ফুলতলি ও কওমি অনুসারীরা নিজেদের মতাদর্শ অনুযায়ী নামাজ পড়া নিয়ে মনির মিয়া ও খুয়াজ আলীর মধ্যে বেশ কিছুদিন থেকে বিবাদ চলে আসছিল। এর জের ধরে সোমবার দুপুরে ফুলতলী অনুসারীরা গ্রামের পুরাতন জামে মসজিদ ভাঙচুর করতে গেলে কওমি সমর্থকরা এবং এতেকাফে থাকা মুসল্লিরা বাঁধা দেন। এক পর্যায়ে দু পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। মসজিদ রক্ষা করতে গিয়ে হামলায় গুরুত্বর আহত হন এতেকাফে থাকা আবুল হোসেন ও রফিক আলী। আহতদের মধ্যে আরো রয়েছেন ইন্তাজ আলীর পুত্র মো. মানিক মিয়া (৩৫), মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র কবির আহমদ (৪০), আবুল হোসেনর পুত্র ইমাদ উদ্দিন (৩৫), মৃত আব্দুল আজিজের স্ত্রী খরফুল বিবি (৬০), শামসুল হকের স্ত্রী সমতেরা বেগম (৪৫), মনির মিয়ার ছেলে রুহুল মিয়া, রইছ আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন, মৃত ফজর আলীর ছেলে হুশিয়ার আলী (৪০), মৃত সোনাহর আলীর ছেলে সামসুল হোসেন (৬০)।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, যুগ যুগ থেকে গ্রামে কওমির নিয়মানুযায়ী নামাজ এবং ইবাদত করা হচ্ছে। কিছুদিন থেকে ফুলতলী অনুসারীরা তাদের নিয়মে নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে মুসল্লিদের চাপ সৃষ্টি করেন। এক পর্যায়ে ফুলতলী অনুসারীরা ব্যর্থ হয়ে নিজেরা অন্য একটি মসজিদ তৈরি করলেও গ্রামের পুরাতন মসজিদ ভাঙ্গার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সোমবার দুপুরে তারা মসজিদে ভাঙচুর করে হামলা করে এবং এতেকাফে থাকা মুসল্লিসহ এলাকার লোকজনের উপর হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার খবর পেয়েছি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd