সিলেট ১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৬ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৪৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০১৮
নিউজ ডেস্ক :: নেপালের কাঠমাণ্ডুতে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটির দুজন যাত্রীর পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রধান উম্মে সালমা ও নাজিয়া আফরিন চৌধুরী। সরকারি এক সেমিনারে অংশ নিতে তারা নেপালে যাচ্ছিলেন।
উম্মে সালমা রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার বাসিন্দা। তিনদিনের দাফতরিক সফরে (অফিসিয়াল ট্রিপে) সোমবার ইউএস বাংলার বিমানে কাঠমান্ডু রওনা দিয়েছেন তিনি। এরপরই আসে বিমান দুর্ঘটনার খবর। সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বারিধারারা ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের অফিসে ছুটে আসেন তার বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ। বোনের জন্য আহাজারি করতে থাকনে তিনি। বোনকে জীবিত ফিরে পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। শোক যেন তাকে নির্বাক করেছে।
পরিকল্পনা বিভাগের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা খোঁজ-খবর রাখছি। নেপাল দূতাবাসে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। কিন্তু দূতাবাস এখন পর্যন্ত কিছুই বলতে পারছে না।
তিনি আরো বলেন, সবশেষ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। মূলত ওই সেমিনারে আমার যোগ দেয়ার কথা ছিল। আমি যেতে পারি নাই বলে ওদের পাঠিয়েছি।
ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ৭৮ আসনের বিমানটিতে ৬৭ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রু মেম্বার ছিলেন। ত্রিভুবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ, ২৭ জন নারীর সঙ্গে ছিল দুই শিশুও।
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ৭৮ আসনের বোম্বার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ-৪০০ মডেলের উড়োজাহাজটি স্থানীয় সময় ২:২০ মিনিটে বিধ্বস্ত হয়। এসটু-এইউজি নামে নিবন্ধিত ফ্লাইটটি ঢাকা ছেড়েছিলো দুপুর ১:৪৩ মিনিটে।
বিমানবন্দরের আরেক মুখপাত্র বীরেন্দ্র প্রসাদ শ্রেষ্ট জানিয়েছেন এই মুহূর্তে বিধ্বস্ত বিমানের আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় আছেন তারা।দুর্ঘটনার পরপরই বিমানবন্দরটিতে সবধরণের উড়োজাহাজের ওঠা-নামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd