সিলেট ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮
ক্রাইম ডেস্ক :: পুলিশের সেই ডিআইজি মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ ৬ সংস্থায় চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীর স্বাক্ষরে বিভিন্ন সংস্থায় তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
দুদকের কর্মকর্তারা জানান, তারা এনবিআর থেকে ডিআইজি মিজানের আয়কর নথি সংগ্রহ করবেন। এ ছাড়া মিজান ও তার পরিবারের পোষ্যদের নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা ও বরিশাল জেলা রেজিস্ট্রার, বিআরটিএ, রাজউক, রিহ্যাবসহ সংশ্লিষ্ট অফিসে। তথ্য হাতে আসার পর ডিইজি মিজানকে দুদকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
নামে-বেনামে ডিআইজি মিজানের শত কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ আছে দুদকের কাছে। সেই অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের অংশ হিসেবে দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে ১০ ফেব্রুয়ারি অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়।
দুদকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, এর আগেও ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করেছিল দুদক। কিন্তু তখন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগটি নথিভুক্ত করা হয়েছিল। তবে এবার নতুন করে অনুসন্ধানে তার চাকরি জীবনে যাবতীয় আয়-ব্যয়, এনবিআরে দেয়া সম্পদের তথ্য, নারীঘটিত বিষয়ে অর্থ খরচের পেছনে টাকার উৎস, বিদেশে পরিবার-পরিজনের জন্য পাঠানো অর্থসহ পুরো বিষয়টি অনুসন্ধানের আওতায় আনা হচ্ছে। দুদকের কাছে থাকা অভিযোগ থেকে জানা যায়, ডিআইজি মিজান পুলিশের উচ্চ পদে থেকে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। চাকরি জীবনে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা উপায়ে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার নামে-বেনামে বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমি রয়েছে। একাধিক ব্যাংক হিসাবে রয়েছে বিপুল অর্থ ও ফিক্সড ডিপোজিট। এমনকি দেশের বাইরে অর্থ পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd