৩ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

প্রকাশিত: ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮

ক্রাইম ডেস্ক : রাজধানীতে ছিনতাইকারীদের হাতে একদিনে দুই হত্যার ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ইতিমধ্যে নির্মম এ ঘটনার তিনদিন পেরিয়েছে। তবে গত শুক্রবার ভোরের ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নড়েচড়ে বসছেন। গতকাল ধানমন্ডি মডেল থানা ও গেণ্ডারিয়া থানা পুলিশের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, এই দুটো ঘটনায়  অনাকাঙ্ক্ষিত ও চাঞ্চল্যকর হওয়াতে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সদস্যরাও তৎপর। আসামিদের শনাক্ত ও আটকের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
শুক্রবার জাতীয় পরিচয়পত্র স্মাট কার্ড নিয়ে ঢাকার সদরঘাট ফিরেন মনিরুল ইসলাম ও হেলেনা বেগম দম্পতি।

সদরঘাট থেকে বাসে করে তারা ধানমন্ডি এসে পৌঁছান। সেখান থেকে গ্রীন রোডের বাসায় যাওয়ার জন্য রাস্তা পার হচ্ছিলেন। ঠিক তখন পেছন থেকে আসা সাদা রঙের কারের চালক হেলেনার কাছে থাকা ব্যাগ ধরে টান দেয়। টানাটানির এক পর্যায়ে হেলেনা রাস্তায় পড়ে যান। ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ওই চালক কারটি একটু ঘুরান দেন। তখন কারের পেছনের চাকা হেলেনার মাথার ওপর দিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই হেলেনা মারা যান। এসময় তার কাছে থাকা ব্যাগ ও টাকা পয়সাসহ প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুুল লতিফ মানবজমিনকে বলেন, সমপূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনায় এখনো কাউকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে আমরা ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করে আসামি শনাক্ত করার তেমন কোনো ক্লু পাইনি। ফুটেজে একটি সাদা কার দেখা গেছে। কিন্তু কারের ভেতরে কে আছে বা কয়জন আছে তা দেখা যায়নি। এছাড়া কারের নম্বর প্লেটও আঁচ করা যায়নি। তবে এই ঘটনাকে খুব গুরুত্ব দিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ভিডিও ফুটেজটি আমরা সিআইডির কাছে পাঠিয়েছি। তারা ফুটেজ নিয়ে কাজ করছেন। আশা করছি, একটা ক্লু বের হবে। ওসি আবদুল লতিফ আরো বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ওইদিন তারা মরদেহ নিয়ে বরিশালের বন্দর উপজেলার নিজ বাড়িতে গিয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা আর আসেনি।
অপরদিকে ব্যবসায়ীক কাজে ঢাকায় আসা খুলনার মো. ইব্রাহিমকে ছিনতাইকারীরা সায়েদাবাদ এলাকায় এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এতে তিনি নিহত হন। এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গেণ্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক সাজ্জাদুজ্জামান বলেন, এই ঘটনায় আমরা এখন পর্যন্ত কোনো ক্লু পাইনি। তবে খুব সূক্ষ্মভাবেই কাজ করে যাচ্ছি। একই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব আলম মানবজমিনকে বলেন, ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে ব্যবসায়ী ইব্রাহিম হত্যায় কাউকে আটক করা যায়নি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের আটকের জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনা নিয়ে পুলিশের আন্তরিকতারও অভাব নেই।
রোয়া হলে অনাকাঙ্ক্ষিত সব ঘটনা ঘটবে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..