নিজস্ব প্রতিবেদক : দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৭৬ রাউন্ড গুলী বর্ষণের ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এ ফাঁকা গুলী ছোঁেড়ন। ফাঁকা গুলী বর্ষণকালে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহত ৩ পুলিশ সদস্যদের মধ্যে হাসান ও রাজ বর্মনের নাম পাওয়া গেছে।
শুক্রবার রাতে দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুলে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ সময় মোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান শায়েস্তা মিয়ার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে সামনে রেখে শুভেচ্ছা কমিউনিটি সেন্টারে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় এ ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ শফিকুর রহমান চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান এডভোকেট, মহানগর সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
জানা যায়, সমাবেশে হাবিবুর রহমানের সমর্থিত উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক জালাল আহমদ বক্তব্য দিতে দাড়ালে এমপি কয়েছ চৌধুরীর সমর্থক যুবলীগের আহবায়ক নুরুল হক ও বড়ইকান্দি ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি গৌছ মিয়ার সাথে হাবিবুর রহমান গ্রুপের কথাকাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় সভা পন্ড হয়ে যায়। এ সময় অনেক গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং সংঘর্ষের ঘটনায় রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পরে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হয়।
পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর আবারো যথাস্থানে বর্ধিত সভার কাজ শুরু হয়।
এদিকে, দক্ষিণ সুরমা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খায়রুল ফজল বলেন, আ’লীগের উভয় পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তখন ৭৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলী বর্ষণ করা হয়। সংঘর্ষ থামাতে এ সময় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হন।