গোয়াইনঘাটে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের কাজ বাঁধাগ্রস্ত

প্রকাশিত: ৬:৩৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০১৮

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি : হাই কোর্টের নির্দেশনা থাকা স্বত্বেও বার বার বাধাঁগ্রস্থ হচ্ছে বল্লাপুঞ্জি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ও মূল ফটকের নির্মাণ কাজ। একটি মহলের বাধাঁর কারণে প্রকল্পটি যথা সময়ে সম্পন্ন করতে পারছেনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের বল্লাপুঞ্জি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমি নিয়ে স্থানীয় দিলু বখত (দিলু খাসিয়া) নামের এক ব্যক্তির সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিদ্যালয়টির ভূমির মালিকানা দাবী করে ওই ব্যক্তি আদালতে মামলা করেন।বল্লাপুঞ্জি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও ভূমি রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন (তৃতীয়) প্রকল্পের আওতায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এতে বাধাঁ দেন খাসিয়া দিলু। বিদ্যালয়ের ভূমির বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষে ১৭ আগষ্ট ২০১৭ তারিখে স্থানীয় সংসদ সদস্য, গোয়াইনঘাটের ইউএনও, এসিল্যান্ড, থানার ওসি, ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গের সমন্বয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সবার মতামতের ভিত্তিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ চালু করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য উচ্চ আদালতে পিটিশন দায়ের করেন দিলু বখত। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ২৩ আগষ্ট ২০১৭ তারিখে ৬ মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেন। একই সাথে বিরোধপূর্ণ ভূমিতে সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাজটি পূণরায় চালু করার জন্য আদালতের কাছে লিখিত আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ও মূল ফটক নির্মাণ কাজ পূণরায় চালু করার নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ও মূল ফটকের কাজ পূণরায় চালু করা হলে মহামান্য হাই কোর্টের নির্দেশকে অমান্য করে চলমান কাজে বাধাঁ দিয়ে আসছেন দিলু খাসিয়া। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দিলু খাসিয়ার (দিলু বখত) সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি কাজে বাধাঁ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের ভূমি নিয়ে বিরোধ থাকায় ওই ভূমির ওপর যে কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণে ১৪ জানুয়ারি মহামান্য আদালত পূণরায় স্থিতাবস্থা জারি করেছেন। এ সংক্রান্ত কাগজের ফটোস্টেট কপি স্থানীয় প্রশাসনকে দিয়েছি। তারপরও তারা কাজ চলমান রেখেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফখরুল ইসলাম জানান, মহামান্য আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ও মূল গেইটের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ওই কাজের ওপর পূণরায় আদালতের স্থিতাবস্থা জারি রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিলেট পোস্ট অফিস থেকে প্রেরণ করা আইনজীবির একটি সার্টিফিকেট কপি পেয়েছি। আদালতের নির্দেশনার কোন কপি আমরা পাইনি। মহামান্য আদালতের নির্দেশনার কপি চেয়ে সংশ্লিষ্ট আইনজীবি বরাবর লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে। গোয়াইনঘাটের ইউএনও বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন আদালতের নির্দেশনা মেনেই সরকারী সম্পত্তি রক্ষায় বল্লাপুঞ্জি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ও মূল ফটকের নির্মাণ কাজ চলছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..