সিলেট ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:০৬ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০১৮
সিলেট :: বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ক্ষনজন্মা রাষ্ট্রনায়ক। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ও গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ে স্থান করে নিয়েছেন। তার সততা, নিষ্ঠা, গভীর দেশপ্রেম, পরিশ্রমপ্রিয়তা, নেতৃত্বের দৃঢ়তা প্রভৃতি গুণাবলি এ দেশের গণমানুষের হৃদয়েকে স্পর্শ করেছিল। তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষ অত্যন্ত আস্থাশীল। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার ওপর মানুষের আস্থা ও দৃঢ় বিশ্বাস ছিল অবিস্মরণীয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক বাংলার রাখাল রাজা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম)’র ৮২তম জন্মবাষির্কী সিলেট মহানগর বিএনপির ২ দিনের কর্মসূচি শেষ দিনে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারী) দরগাগেইটস্থ কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের শহীদ সুলেমান হলে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করে অবৈধ আওয়ামী লীগ বাকশালী সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গনতন্ত্র হত্যার দায়ে আওয়ামীলীগকে জনতার আদালতে বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিকদেরকে অতন্দ্র প্রহরীর ভুমিকা পালন করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে আজকের বাংলাদেশ হতো না। শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষনার মধ্য দিয়ে মুক্তিকামী জনতা মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। জিয়াউর রহমান শুধু গণতন্ত্রে করেন পুন;প্রতিষ্টা করেন, কিভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হয় তা শিখিয়ে দিয়ে গেছেন। বাকশালী সরকার যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিকরা গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেই ছাড়বে।
মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজমল বক্ত সাদেকের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট ফয়জুর রহমান জাহেদ, হুমায়ুন কবির শাহীন, সালেহ আহমদ খছরু, কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, অধ্যাপিকা সামিয়া বেগম, আব্দুস সাত্তার, নিহার রঞ্জন দে, আব্দুল আলিম দিপক, ফাত্তাহ বকশী, যুগ্ম সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, আতিকুর রহমান সাবু, হুমায়ুন আহমদ মাসুক, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, মুকুল আহমদ মুর্শেদ, মাহবুব চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম আলো, প্রকাশনা সম্পাদক জাকির হোসেন মজুমদার, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি জাহানার ইয়াসমিন গোলাপী, শ্রম সম্পাদক ইউনুস মিয়া, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডাঃ আশরাফ আলী, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ নিগার সুলতান ডেইজী, মহানগর বিএনপির পরিবেশ সম্পাদক আবুল কালাম, এডভোকেট মুমিনুল ইসলাম, সুহেল বাছিত, আলী হায়দার মজনু, নাজির হোসেন, উজ্জ্বল রঞ্জন চন্দ্র, আব্দুস সবুর, সদস্য মুফতি রায়হান উদ্দিন মুন্না, জিয়াউর রহমান দিপন, আমিনুর রশিদ খোকন, শেখ কবির আহমদ, এম মখলিছ খান, নেওয়াজ বক্স তারেক, নোমান আহমদ, আব্দুস সোবাহান, জাসাস মহানগরের সাধারন সম্পাদক তাজ উদ্দিন মাছুম, এনামুল হক, মহানগর যুবদল নেতা আশরাফ সিদ্দিক রাহাদ, এটিএম বেলায়েত হোসেন হোসেন মোহন, আখতার হোসেন, জিএম সেলিম, আব্দুল মতিন, আলতাফ হোসেন সুমন, কামরান হোসেন হেলাল, মুজাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর এছাড়াও বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মহানগর বিএনপির আপ্যায়ন সম্পাদক আফজল উদ্দিন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd