বন্দুকের মুখে বিয়ে করতে বাধ্য হলো ইঞ্জিনিয়ার ছেলে

প্রকাশিত: ১২:১১ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০১৮

Manual3 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বন্দুকের মুখে ভারতের এক পাত্রকে বিয়ে করতে বাধ্য করার অভিযোগের তদন্ত করছে দেশটির পুলিশ। গত শুক্রবার জোর করে এক ইঞ্জিনিয়ারকে বিয়ে করতে বাধ্য করার ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে তদন্তে নামে বিহারের পুলিশ।মিডিয়ায় প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়, বিহারের ইঞ্জিনিয়ার বিনোদ কুমারকে বন্দুকের মুখে তুলে নিয়ে বিয়ের আচার-অনুষ্ঠান পালনে বাধ্য করা হয়।

Manual8 Ad Code

উল্লেখ্য, ভারতের সবচেয়ে দরিদ্র রাজ্য বিহারে জোর করে পাত্রকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার ঘটনা আগেও ঘটেছে।

‘পাকাড়ুয়া বিবাহ বা জোরপূর্বক বিয়ে’র চল শুধুমাত্র ভারতের বিহারে রয়েছে। মূলত যেসব পরিবারের যৌতুক দেয়ার সামর্থ্য নেই তারা এভাবে পাত্র ধরে মেয়েদের সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়।

Manual5 Ad Code

সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় বিনোদ ছাড়া পাওয়ার জন্য আকুতি জানাতে থাকলেও, তাকে জোর করে বিয়ের পোশাক পরিয়ে অনুষ্ঠান পালনে বাধ্য করা হয়।

ভিডিওতে পাত্রীপক্ষের একজনক বিনোদকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমরা তোমার বিয়ে দিচ্ছি, ফাঁসি দিচ্ছি না।’

আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই ইঞ্জিনিয়ার পাত্রীর পাশে বসে বসে কাঁদছেন। বয়স্কা একজন মহিলা তাকে সান্ত্বনা দিলেও ওই ইঞ্জিনিয়ার শান্ত হননি।

Manual5 Ad Code

লালান মোহন প্রসাদ নামের স্থানীয় কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, পুলিশ বিনোদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং তাকে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু বিনোদ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগ জানাননি।

স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, বিনোদ দাবি করেছেন- পাত্রীর এক বন্ধুর বিয়েতে ওই পাত্রীর আত্মীয়দের সাথে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তারা পিস্তল ঠেকিয়ে বিনোদকে বিয়ে করার নির্দেশ দেয়।

শৈবাল গুপ্ত নামের একজন সমাজবিজ্ঞানী জানান, এমন বিয়ে ব্যাপকভাবেই গ্রহণযোগ্য। ডিভোর্সের ভিড়ে এসব বিয়ে টেকেও অনেক বেশি। এমন বিয়ের ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। তবে দারিদ্র্য এখনো প্রবল থাকায় এগুলো একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি।

সরকারি তথ্য মতে, ২০১৬ সাল থেকে সেখানে এমন বিয়ের তিন হাজার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি বিয়েও ভাঙার কিংবা বিচ্ছেদের খবর পাওয়া যায়নি।

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..