কোন দু’জন আসছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে

প্রকাশিত: ৬:৪০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০১৮

নিজস্ব প্রতিনিধি : বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী এই সংগঠনটি জন্মলগ্ন থেকেই আন্দোলন, সংগ্রাম, দাবী আদায়সহ বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সিলেট জেলা কমিটিতে নতুন হাওয়া নিয়ে আসছে আগামী কিছু দিনের মধ্যে। জেলা রাজনীতির মাঠে চাঙ্গা এখন ছাত্রলীগের নেতারা। বিশেষ করে সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদক পদে কে কে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন।

এ নিয়ে সিলেটে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের বেশ আগ্রহ ও কৌতূহল রয়েছে। নানা ধরণের বিতর্কিত কর্মকান্ড মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গত ১৮ অক্টোবর বিলুপ্ত করা হয়েছে। কমিটি বিলুপ্তের পরপরই নতুন কমিটি গঠনের জন্য পদপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে সম্প্রতি জীবনবৃত্তান্ত আহবান করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এজন্য তিন নেতাকে দায়িত্ব দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তাদের কাছে পদ প্রত্যাশীরা সিবিও জমা দিয়েছেন তিন নেতা হচ্ছেন- ছাত্রলীগের সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৃজন ঘোষ সজিব, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক চিন্ময় রায় ও উপ-সাহিত্য সম্পাদক রহমত উল্লাহ খান শাকুর। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এসব জীবনবৃত্তান্ত যাচাই-বাছাই শেষে নতুন কমিটি ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, আসন্ন নতুন কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বেশকয়েকজন নিজেদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। তন্মধ্যে ৬ জনকে ঘিরেই আলোচনা বেশি। সূত্র জানায়, সিলেট জেলা ছাত্রলীগ যদিও কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত। তবে সেই কাংখিত পদবী দুটি যেন এড. নাসির উদ্দিন খানের তেলিহাওর গ্রুপ আর আজাদুর রহমান আজাদের টিলাগড় গ্রুপের মাঝেই থেকে যাচ্চে বলে অনেকের ধারণা।

বেশ কয়েকটি সূত্র মতে, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক এড. নাসির উদ্দিন খান সমর্থিত তেলিহাওর গ্রুপ থেকে আসতে পারেন সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাওয়াদ খান ও শাক্ষুর আলম জনি এবং মহানগর আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ সমর্থিত টিলাগড় গ্রুপ থেকে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে পারেন আজাদুর রহমান আজাদের আশির্বাদপুস্ট সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংষ্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল আজাদ সেনাজ ও সাবেক জেলা সহ-সভাপতি অনিরুদ্ধ মজুমদার পলাশ, সাবেক সহ-সম্পাদক বখতিয়ার আলম অনি। এছাড়া ছাত্রলীগের টিলাগড় কেন্দ্রীয় গ্রুপের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক রণজিত সরকারের আশির্বাদপুষ্ট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য নজমুল ইসলাম ও জুর লবিং চালিয়ে যাচ্চেন। বিভিন্ন সূত্র মতে এই ৬ জন ছাত্র নেতা থেকেই যে কোনো দু’জন পেয়ে যাবেন সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদ দুটি। তবে যেই হন না কেন অত্যান্ত ক্লীন ও পরিচ্ছন্নতার অধিকারী ব্যক্তিদ্ধয়কেই বেছে নেয়া হবে। সিলেট জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে আগ্রহী তিন শতাধিক নেতা নিজেদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। তবে সদ্য বিলুপ্ত হওয়া কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরী নিজেদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দেননি।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৃজন ঘোষ সজিব বলেন, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে তিন শতাধিক জীবনবৃত্তান্ত আমরা পেয়েছি। এসব জীবনবৃত্তান্ত যাচাই-বাছাই শেষে কেন্দ্র থেকে কমিটি দেওয়া হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এবার সিলেট জেলার পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলো থেকে যারা পদ প্রত্যাশী তারাই আসছেন নতুন মূখ হয়ে বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সিলেট জেলা শাখার শীঘ্রই নতুন কমিটি আসছে, এবার শুধু অপেক্ষার পালা। এদিকে ছাত্রলীগ একটি বড় সংগঠন। এখানে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতাও বেশি। তবে নেতাদের মেধা, যোগ্যতা ও সাংগঠনিক দক্ষতা বিবেচনায় রাখার পাশাপাশি যেসব নেতার বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির অভিযোগ নেই, পরিচ্ছন্ন ভাবমর্যাদাসম্পন্ন, আন্দোলন সংগ্রামে ত্যাগী শুধু তাদেরই মূল্যায়ন করা হবে বলেও অন্য একটি সূত্র বলছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..