প্রেমের অপবাদ দিয়ে তরুণীকে মারাত্মক নির্যাতন

প্রকাশিত: ৯:০০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১, ২০১৮

ক্রাইম ডেস্ক : জমিজমা বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশী এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের অপবাদ দিয়ে এক তরুণীকে বেদম মারপিট ও গোপনাঙ্গে লাঠি দিয়ে খুচিয়ে মারাত্নক জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার দিবাগত রাতে এ সময় ওই কিশোরীর মাকেও বেদম মারপিট করে মারাত্মক আহত করা হয়। মা-মেয়ে দুজনই শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
সখিপুর থানা ও নির্যাতিত তরুণী সুমি আক্তার জানান, শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার ছৈয়াল কান্দি গ্রামের বাবুল দেওয়ানের সঙ্গে চাচাতো ভাই মালেক দেওয়ান ও সুমন দেওয়ান গংদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার শালিস দরবার হয়েছে। একই গ্রামের বুলবুল সরদার মালেক দেওয়ানদের পক্ষ নিয়ে বিরোধীয় জমি কিনতে চায়। কিন্তু এতে ওই পরিবার রাজি হয়নি।
গত ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ছুটিতে দেশে আসেন বাবুল দেওয়ানের মেয়ে সৌদি প্রবাসী সুমি আক্তার (২০)। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে সৌদি আরবে গৃহকর্মীর কাজ করছেন তিনি। দেশে আসার পর প্রতিবেশী বুলবুল সরদার সুমির পরিবারের কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করে এবং সুমির সঙ্গে বুলবুল সরদারের শ্যালক আরিফ দেওয়ানের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে অপবাদ দেয়। ৩১ ডিসেম্বর রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুমি ও তার মা জোৎসনা বেগম নিজেদের ঘরে বসে কথা বলছিলেন। এমন সময় বুলবুল সরদার ও তার স্ত্রী মনি বেগমসহ ৪/৫ জন লোক লাঠিসোটা নিয়ে ঘরে ঢুকে বাবুল দেওয়ানকে মারার জন্য খোঁজাখুজি করে। তাকে না পেয়ে তারই তরুণী কন্যা সৌদি প্রবাসী সুমি আকতারকে বেদম মারপিট করে। হামলাকারীরা সুমি আকতারের গোপনাঙ্গে লাঠি দিয়ে খুচিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ সময় সুমির মা তাকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন আহতদেরকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
আহত সুমি বলেন, আমরা বাড়িতে একটি বিল্ডিং নির্মাণ করছি, এ কারণে বুলবুল সরদার ও মালেক দেওয়ান দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। টাকা দিতে রাজি না হলে তারা আমার উপর হামলা চালিয়েছে। আমাকে ও আমার মাকে পিটিয়ে আহত করেছে। লাঠি দিয়ে আমার যৌনাঙ্গে খুচিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করেছে। আমি এর বিচার চাই।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট সাজেদা খাতুন বলেন, সুমির যৌনাঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, ঘটনাটি শোনার পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের মামলা দিতে বলেছি। মামলা হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..