বড়লেখায় চোরাকারবারী জাহাঙ্গীর আলমসহ ৩ জনের উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী!

প্রকাশিত: ৮:৫৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ২০, ২০২৩

বড়লেখায় চোরাকারবারী জাহাঙ্গীর আলমসহ ৩ জনের উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী!

Manual7 Ad Code

বড়লেখা সংবাদদাতা: চোরাকারবারী জাহাঙ্গীর আলম ও তার ভাইদের ওপর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করেছেন আদালত। গেল বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) মৌলভীবাজার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর কার্যালয় থেকে জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), আব্দুল মিয়া (৩০) ও সালমান আহমেদ (২৫) এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্তা গ্রহন করতে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বড়লেখা চৌকি আদালতকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বাড়ি বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নে।

Manual8 Ad Code

 

গেল দুই মাস আগে আদালতে বিচারাধীন একটি মামলার আপোষ মীমাংসার বৈঠকে বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল কাদিরের বাড়িতে সালিশ সদস্যের ওপর আপত্তি দেয়ার কারনে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী হামলা চালান বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর পরিবার। এতে আহত হন আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল কাদির, ছেলে মাহী হাসান নিলয়, স্ত্রী মাছুমা আক্তার, পুত্র বধূ মুনিরা আহমদ মুনা সহ দুই বছর বয়সী দুই শিশু সন্তান। পরে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহন করেন।

 

মাহী হাসান নিলয় অভিযোগ করেন তাদের বাড়িতে একটি বিচারে তার বাবা আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল কাদির আপত্তি দিলে জাহাঙ্গীর আলম গং তাদের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা করে এবং তাদের বসত ঘরে হামলা চালায়। তার অভিযোগ জাহাঙ্গীররা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে তাকে এবং তার বাবাকে হত্যার উদ্দশ্যে এ হামলা চালায়।

 

ঘটনার পর গেল ২৫ মে মাহী হাসান নিলয় বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), সালমান আহমদ (২৫),আব্দুল মিয়া (৩০), সেলিম আহমদ (৩৫), নাহিদ আহমদ(২৫), শাহিদ আহমদ (২৩),শাহিন আহমদ (৪০),ওয়াহিদ আহমদ (২২) নামে ৮ জনের বিরুদ্ধে বড়লেখা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ অভিযোগের সত্যতা পেয়ে মামলা এফআইআর করেন যাহার থানার মামলা নং- ২৫, তাং- ২৫/০৫/২৩ইং।

Manual1 Ad Code

 

তবে গ্রেফতারি পরোয়ানাকৃত আসামীদের ধরার আগেই গেল ৩১ মে ৪ জন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বড়লেখা চৌকি আদালতে আত্মসমর্পন করেন। বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। অপরদিকে জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), আব্দুল মিয়া (৩০) ও সালমান আহমদ গেল ০১ জুন উচ্চ আদালতে আত্মসমর্পন করে আগাম জামিন আবেদন করেন। পরে আদালত ৬ সপ্তাহের জন্য তাদের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। শর্ত দেয়া হয় আদালতে তাদের ৬ সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পন করতে হবে। কিন্তু তারা ৬ সপ্তাহ পর ও আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আদালতে হাজির হন নি। এতে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে আদালত।

 

Manual1 Ad Code

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) চোরাচালানের সাথে জড়িত। কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে তিনি দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধ ভাবে ভারতীয় চিনি, নিষিদ্ধ পাতা বিড়ি, এবং পলিথিন এনে ব্যবসা করছেন। চোরাকারবারের সাথে জড়িত থাকার কারনে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় বেশ কিছু মামলা রয়েছে এবং কয়েকবার সে চিনিসহ গ্রেফতার হয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা থেকে শুরু করে চোরাচালান কারবারসহ প্রায় ডজন খানেক মামলা রয়েছে।

 

তবে এ সব ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলমসহ বাকি অভিযুক্তদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি আ্ইনতভাবে তারা ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী থাকায়।

 

এদিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বড়লেখা চৌকি আদালতের জি/আর উপ-পুলিশ পরিদর্শক পিজুশ দাস মুঠোফনে জানান- উল্লেখিত ৩ জন আদালতের নির্দেশ অমান্যের কারনে তাদের নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয়েছে। আগামী রবিবার এটি বড়লেখা থানা পুলিশকে প্রদান করা হবে।

Manual1 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..