সিলেট ১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৫৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২২
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদকে ছুরিকাঘাতের সময় তার সঙ্গে টিলায় অবস্থান করা বান্ধবী মার্জিয়া ঊর্মি হাসপাতাল থেকে ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঊর্মিকে খুঁজে বের করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে নিয়ে ক্রাইম সিনে (ঘটনাস্থলে) যায় পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।
তিনি বলেন, ‘সে হাসপাতাল থেকে চলে আসার পর আমরা অনুসন্ধানে নামি। পরে জানতে পারি সে ভার্সিটির হলেই অবস্থান করছে। এখন তাকে আমরা ক্রাইম সিনে আছি।’
সোমবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে গাজিকালুর টিলার পাশে ছুরিকাঘাতে খুন হন ২২ বছর বয়সী শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থীকে যখন ছুরিকাঘাত করা হয় তখন টিলায় তার সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী ঊর্মি। ছুরিকাঘাতে আহত বুলবুলকে ওসমানী হাসপাতালে আনা হলে ঊর্মির সেখানে যান। কিছুক্ষণ পর বুলবুল মারা যান।
এ ঘটনায় বার বার অজ্ঞান হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সোমবার রাতেই নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ঊর্মিকে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মঙ্গলবার বিকেলে হুট করে হাসপাতাল থেকে ‘উধাও’ হয়ে যান তিনি। পরে পুলিশ শাবির হলে তার সন্ধান পায়।
এদিকে, শাবি শিক্ষার্থী বুলবুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জালালাবাদ থানায় একটি মামলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেনের করা মামলায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ সন্দেহভাজন তিন বহিরাগতকে আটক করেছে।
হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আখতারুল ইসলামকে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd