কোম্পানীগঞ্জে বেহাত হচ্ছে সাদাপাথর, রাতের আঁধারে চুরি

প্রকাশিত: ৯:০১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২২

কোম্পানীগঞ্জে বেহাত হচ্ছে সাদাপাথর, রাতের আঁধারে চুরি

Manual3 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : পর্যটনকেন্দ্র থেকে চুরি হওয়া পাথর সরেজমিনে পেয়েও জব্দ না করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কোনো পদক্ষেপ না নিয়েই চলে আসেন তিনি।

এদিকে, উর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তার কাছে ওসি’র মাধ্যমে ইউএনও পাথর জব্দ করে মামলা হবে আশ্বাস দিলেও ওসি বললেন- এসব বিষয়ে ইউএনও জানেন। তবে ইউএনও-ওসির জানাজানির ফাঁকে সকল বিপুল পরিমাণ পাথর ক্রাশিং মেশিন দিয়ে ভাঙা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

Manual8 Ad Code

উপজেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার এমন আচরণে এলাকায় গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। সংরক্ষিত এলাকা থেকে রাতের আঁধারে পাথর চুরিতে সায় দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

Manual7 Ad Code

জানা যায়, রবিবার (২৪ জুলাই) বেলা আড়াইটায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কলাবাড়ির মাহবুব স্টোন ক্রাশারে পুলিশের ফোর্স নিয়ে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং। এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনি সেখানে গিয়ে প্রচুর পরিমাণ সাদা পাথর পান। এর মধ্যে বেশিরভাগ পাথর ক্রাশিং করা হলেও ভোর রাতে ক্রয় করা পাথরগুলো ক্রাশিং করা সম্ভব হয়নি। সেগুলো ক্রাশার মিলের এক পাশে স্তুপ করে রাখা ছিল। ক্রাশার মিলের মালিককে পাওয়া যায়নি অজুহাত দেখিয়ে ইউএনও পাথর গুলো জব্দ না করে একদিনের সময় দিয়ে চলে আসেন।

Manual5 Ad Code

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি রাতে চুরি হচ্ছে সাদা পাথর। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে প্রাকৃতিক অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্র। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কড়াকড়ি থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতিতে প্রতি রাতে চুরি হচ্ছে পাথর। স্থানীয়দের এমন অভিযোগের সত্যতা মিলে ২৪ জুলাই। এ দিন ভোর রাতে ৩০-৪০ টি নৌকা দিয়ে পাথর চুরি হয় সাদা পাথর থেকে। দিনের আলো ফোটার আগেই সেগুলো কলাবাড়ির সুজনের ঘাটে এনে রাখা হয়। সেখান থেকে ছোট ছোট ট্রলি দিয়ে মাহবুব স্টোন ক্রাশার মিলে আনা হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তীর সাথে কথা হলে তিনি সিলেটভিউ-কে জানান, এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানেন কী করবেন। আমরা যাচাই-বাছাই করতেছি। তবে মিলে সাদা পাথর ভেঙে ফেলছে। মিলে আস্ত সাদা পাথর আছে সেগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, এই পাথর যে সাদা পাথর থেকে এসেছে তাও কী করে প্রমাণ করবেন তিনি।

গোয়াইনঘাট সার্কেল এএসপি প্রভাস কুমার সিংহের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি অবগত নই। খবর নিচ্ছি।

Manual1 Ad Code

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং-এর ব্যবহৃত সরকারি মোবাইন নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, ইউএনও ওসিকে দায়িত্ব দিয়েছেন সেই পাথরগুলো জব্দ করার জন্য। ওসি মামলা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..