সিলেট ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:২৭ অপরাহ্ণ, জুন ১৩, ২০২২
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের গোয়াইনঘাটের নৌপথে দুই ইউপি চেয়ারম্যানের শেল্টারে চলছে চাঁদাবাজির মহোৎসব। বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বসিয়ে বালুভর্তি নৌযান থেকে আদায় করা হচ্ছে ইচ্ছেমত হাজার হাজার টাকা চাঁদা। চাঁদা না দিসে হামলা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন নৌশ্রমিকরা।
সোমবার (১৩ জুন) সশস্ত্র চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, উপজেলার ১১৭-গোয়াইন নদীর জুলুরমুখ, বালির হাওর, সাতুকুড়িকান্দি নামক স্থানে সশস্ত্র চাঁদাবাজ বসিয়ে দৈনিক আদায় করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকার চাঁদা। এ নিয়ে নদীর বৈধ ইজাদার ও শ্রমিকদের সাথে সৃষ্টি হয়েছে নানাবিধ ঝামেলা। মারমুখি হয়ে ওঠেছেন দু’পক্ষ। স্থানীয় এই দুই ইউপি চেয়ারম্যানের আসকারা পেয়ে চাঁদাবাজরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। এ নিয়ে গত ৫ জুন উপজেলার বালির হাওর ও সাতুকুড়িকান্দি নৌপয়েন্টে মারমুখি অবস্থার সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপে তা প্রশমিত হয়।
অভিযোগে প্রকাশ, ১০ নং পশ্চিম আলীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া হেলাল এই সন্ত্রাসীদের ‘চাঁদাবাজির লাইসেন্স’ দিয়ে বিভিন্ন নৌঘাটে বসিয়ে দিয়েছেন। চাঁদাবাজরা ‘ইউনিয়ন ট্যাক্স’ নামে নৌপথে ইচ্ছেমত জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে চলেছে। চাঁদা না দিলে নৌচালক ও নৌশ্রমিকদের মারপিটও করছে তারা। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন জেলা প্রশাসন কর্তৃক নদীর বৈধ ইজারা গ্রহীতারা।
জানা গেছে, উপজেলার ১১৭ ও সারী নদীতে সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের বৈধ ইজারাদারগন রয়েছেন। তারা বিধিমোতাবেক টোলও আদায় করছেন।
এর বিপরীতে বিভিন্ন পয়েন্টে উল্লেখিত ইউপি চেয়াম্যানদ্বয়ের ‘ইজারা’ নামে সন্ত্রাসীরা চাদাঁ আদায় করছে। ইজারা নামে তারা উপজেলার নৌপথে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে। তাই উপজেলাবাসী ইউপি চেয়ারম্যাদ্বয়ের লেলিয়ে দেওয়া চাঁদাবাজ ইনসান হোসেন রাজীব, আবু তায়েফ ও আবু তায়েফের খালাতো ভাই হোসেন আহমদ চক্রসহ নৌপথের চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দমনমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানিয়েছেন।
১৩ জুন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে দেওয়া অভিযোগে গোয়াইনঘাট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম সারোয়ার উপজেলাবাসীর পক্ষে এ দাবি জানান।
সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা আবেদন প্রপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd