সিলেট ১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:২৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটে মাদক সেবন ভয়াবহ আকারে বিস্তার লাভ করেছে। বাসাবাড়ি ও রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে মাদক সেবন। করোনাকালীন স্কুল কলেজ বন্ধ এবং অনেক ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান না থাকায় মাদক সেবনের দিকে ঝুকে পড়ে ছাত্র ও যুবরা। অন্যদিকে প্রতিদিনই মাদকসহ ধরা পড়ছে ব্যবসায়ী ও বহনকারীরা। এই মাদক সেবন ও ব্যবসায় নারীরাও জড়িয়ে পড়ছে। এক পরিসংখ্যান মতে সিলেটে বর্তমানে ৩ হাজারেরও বেশি মাদক কারবারী কারাগারে রয়েছে। মাদক সেবী ও মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতারে র্যাব-পুলিশের অভিযযান অব্যাহত থাকলেও কিছু স্পর্শকাতর এলাকায়ও দেখা যায় প্রকাশ্যে মাদক সেবন। কথায় আছে হারিকেন বাতির নিচ অন্ধকার থাকে। এই প্রবাদ মতে সিলেট পুলিশ লাইন এলাকা এখন মাদকসেবীদের অভয়ারন্য। সিলেটে নগরের রিকাবীবাজার পরেই পুলিশ লাইন এলাকা। এখানে রয়েছে আর আর এফ পুলিশ লাইন্স ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন। রয়েছে এখানে বহু সিসিটিভি। এরপরও এই এলাকায় প্রকাশ্যে চলে মাদক সেবন। পুলিশ লাইনের সামনে ড.ছঞ্চল রোড. এলাইনের কাছে রয়েছে পুলিশ লাইন স্কুল। অদুরেই হযরত মাহজালাল (র) এর দরগাহ। দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিঠানবিহীন নিরব এলাকা। এখানে বাঁধা দেওয়ার কেউ নেই,নেই জনসমাগম। তাই এই এলাকার ফুটপাতকে নিরাপদ আস্তানা হিসেবে বেছে নিয়েছে মাদকসেবীরা। প্রায়দিনই গাড়ি করে চরাচল করতে দেখা যায় ড. চঞ্চল রোডের দুপাশের ফুটপাতে কখনো একাকী, আবার কখনো দু’তিনজন জটলা বেঁধে করছে মাদক ও ইয়াবা সেবন। পুলিশ লাইনস্ এলাকা থাকায় থানা ও ফাড়ি পুলিশের তেমন কোন তৎপরতা না থাকায় এই এলাকাকে মাদকসেবীরা নিরাপদ আস্তানা হিসেবে বেছে নিয়েছে। সরেজমিনে শুক্রবার দেখা গেছে দরগাহ এলাকা থেকে তাড়া খেয়ে আসা কতেক মাদকসেবী পুলিশ লাইনের সা¥নের রাস্তার ধারে বসে নির্বিঘ্নে মাদক সেবন করছে।
এদিকে আরেক জনশূন্য এলাকা সিলেট আলিয়া মাদ্রসা মাঠ ও এর সামনের ফুটপাত। প্রায় প্রতিদিনই এ স্থানে চলে মাদক সেবন। ভকাটে মাদকসেবীওদও সাথে স্ট্যান্ডের অনেক গাড়িচালকও মাদক সেবনে অংশ নেয়। শুধু মাদক সেবন নয়, ভাসমান মাদকব্যবসায়ী ও বিক্রেতারাও এ এলাকায় হকার বেশে মাদকের ফেরী করে থাকে।
মাদক সেবনের আরেক নিরাপদ আস্তানা নগরের পূর্ব সাগরদিঘিরিপার । এলকানে দখলীয় কয়েকটি কলোনীতে অবাধে চলে মাদকসেবন এবং ক্রয় বিক্রয়। ভ’মিখেকোদের পাহারাদার সন্ত্রাসী ও ক্যডাররা ওই এলাকাকে মাদকের নিরাপদ আস্তানা বানিয়ে ফেলেছে।
মাদক সেবনের আরেকটি স্পট হচ্ছে কীনব্রিজ ও ও সুরমার ওয়াকওয়ে এলাকা। এখানে প্রতিদিনই জটলা বেধে মাদক সেবন কওে বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণির লোকজন। মাতাল হয়ে পড়া মাদকসেবীদেও আক্রমনের শিকার হয়ে থাকের পর্যটকসহ পথচারীরা। মাদকের টাকা যোগান দিতে তারা ছিনিয়ে নেয় পথচারী ও পর্যটকদেও মোবাইল ফোন টাকা ও মূল্যবান জিনিষপত্র। কোতোয়ালি ও বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশের নাকের ডগায় মাদকসেবীরা বেপরোয়া হয়ে মাদক সেবন করলেও তেমন কোন প্রতিকার নেই।
এব্যাপরে সিলেট কোতোয়ালি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার এসআই মাহবুব মন্ডল জানান, এসব এলাকায় আমাদের টহল পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকে। মাদকসেবীদের দেখা পেলেই পুলিশ তাদেও আটক করে থাকে বলে জানান তিনি।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd