ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আর নেই

প্রকাশিত: ১০:৪৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২১

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আর নেই

Manual5 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

Manual1 Ad Code

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের চেম্বারের জুনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

Manual1 Ad Code

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড খান রিয়াজ উদ্দিন নসু বাংলানিউজকে জানান, সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. চার্লস ত’র অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন মওদুদ আহমদ। সঙ্গে তার স্ত্রী হাসনা মওদুদ আছেন।

Manual6 Ad Code

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি প্লেনে তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়।

Manual6 Ad Code

এর আগে গতবছর ২৯ ডিসেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত ২০ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। ২১ জানুয়ারি পুনরায় এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ১ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ১৯৪০ সালের ২৪ মে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমদ এবং মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমদ চতুর্থ।

শিক্ষা
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান পাস করে ব্রিটেনের লন্ডনের লিঙ্কন্স ইন থেকে ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডনে পড়াশোনা করে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং হাইকোর্টে ওকালতি শুরু করেন। তিনি ব্লান্ড ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্যারিস্টার মওদুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১-এ ইয়াহিয়া খান আহুত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ছিলেন।

রাজনীতি
১৯৭৭-৭৯ সালে তিনি জিয়াউর রহমানের সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৭৯ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮১ সালের মে মাসে জিয়াউর রহমান নিহত হন এবং এক বছরের ভেতর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন। ১৯৮৫’র নির্বাচনে মওদুদ আহমদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সরকারের তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

এক বছর পর ১৯৮৬ সালে তাকে আবার উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮৮ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৮৯ সালে তাকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং এরশাদ তাকে উপ-রাষ্ট্রপতি করেন। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকার জনরোষের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ১৯৯১ সালে মওদুদ আহমেদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০১ সালেও তিনি বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পাঁচবার মওদুদ আহমেদ নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা থেকে নির্বাচিত হন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..