মেয়ে ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে থানায় আটক মা-বাবা

প্রকাশিত: ৬:৫৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯

মেয়ে ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে থানায় আটক মা-বাবা

Manual7 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের টিয়াগাছা গ্রামে পালিত মেয়েকে ধর্ষণের মামলা করতে গিয়ে পালক বাবা ওই ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য নিজেই আসামি হয়ে জেল খেটেছেন।

Manual5 Ad Code

ধর্ষণ ঘটনার মূল আসামি মাসুদ মিয়ার বিচার এবং মিথ্যা ধর্ষণ মামলা থেকে বাবার অব্যাহতি, সুবিচারসহ সাদুল্যাপুর থানা পুলিশের অন্যায়-দুর্নীতির প্রতিকারের দাবি জানিয়ে সোমবার দুপুরে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, সাদুল্যাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান এটিএম রেজানুল ইসলাম বাবুর বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় ৪নং ওয়ার্ড সদস্য জামিলের (ছদ্মনাম) সঙ্গে মনোমালিন্য চলে আসছিল। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান তাকে ফাঁসাতে নানান ফন্দি তৈরি করেন। চেয়ারম্যানের নিকটতম প্রতিবেশী একই ইউনিয়নের দক্ষিণ সনতোলা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মাসুদ মিয়ার সঙ্গে জামিলের পালিত মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে গত ৩ মে রাতে নিজ বাড়িতে জামিলের মেয়েকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে মাসুদ মিয়া পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় পরের দিন ৪ মে ধর্ষিত মেয়েকে নিয়ে জামিল ও তার স্ত্রী সাদুল্যাপুর থানায় ধর্ষক মাসুদ মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে তাদের আটক করে থানা হাজতে রেখে নির্যাতন করে পুলিশ। শুধু তাই নয়, পুলিশ জোর করে তাদের মেয়েকে দিয়ে উল্টো পালক বাবা জামিলের বিরুদ্ধেই ধর্ষণ ও অকাল গর্ভপাত ঘটানোর মিথ্যা অভিযোগে জোর পূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে মামলা দায়ের করে।

Manual8 Ad Code

সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষিতা, ধর্ষিতার বাবা, মা, ও প্রতিবেশী নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

Manual6 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2019
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..