সিলেট ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:২১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০২২
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি :: সিলেটের জৈন্তাপুরের একমাত্র শ্রীপুর পাথর কোয়ারি। সরকারিভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ ঘোষানার পরও কোয়ারি জিরো পয়েন্ট সাবাড় করে ও খাবলে খাচ্ছে পাথরদস্যুরা। কোয়ারি জিরো লাইান থেকে রাতদিন হাজার ঘনফুট পাথর ইত্তেকালন করে বিক্রি করা হচ্ছে ক্র্শাার মিলে। অজ্ঞাতকারণে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সসংস্থা রয়েছেন নিরব ভূমিকায়।
জানা গেছে, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার একমাত্র পাথর কোয়ারী শ্রীপুর। কোয়ারীতে পাথর না থাকায় ত্রিমাত্রিক জরিপ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ৫ বৎসর পূর্বে কোয়ারীটি সম্পূর্ণ পরিত্যাক্ত ঘোষনা করে। তারপর থেকে এ কোয়ারী হতে বৈধভাবে পাথর উত্তোলন সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি এই শ্রীপুর পাথর কোয়ারির জিরো লাইন সাবাড় করেন দিচ্ছে পাথরখেকোরা। পাথরখেকোরা দিন-রাত পাথর উত্তোলন করে আসছে। সচেতন মহলের প্রশ্ন, বন্ধ কোয়ারী জিরো লাইন হতে প্রতিনিয়িত পাথর উত্তোলন হচ্ছে কিভাবে?
সরজমিনে শ্রীপুর পাথর কোয়ারী ঘুরে দেখা যায়, কয়েক বৎসর পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় শ্রীপুর পাথর কোয়ারীটি প্রাকৃতিক ভাবে সেজে উঠেছে অপরূপ সাজে। জিরো লাইন এলাকায় ভারতীয় অংশে পাহাড় ধসে পানির স্্েরাতে ভেসে এসেছে পাথর সমাহার। যা কোয়ারীটির জিরো লাইন এলাকাকে ভরপুর করে ফিরিয়ে এনেছে সেই আশির দশকের সমুজ্জল চেহারায়।
পাহাড়ী ঢলে ভেঁসে আসার জিরো লাইনের এসব পাথর সমারোহের উপর সম্প্রতি লোলুপ দৃষ্টি পড়ে পাথর খেকো চক্রের। তারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা উত্তোলনের মাধ্যমে পাথর উত্তোলনের সুযোগ করে দেয়। ফলে (আর্ন্তজাতিক) সীমান্তের ১২৮০ নং মেইন পিলার, ১২৮০ (১এস) ও ১২৮০ (২এস) সাব পিলার সংলগ্ন বাংলাদেশ সীমান্তের জিরোপয়েন্টে
দিন দুপুরে দৃষ্টি নন্দন পাথরগুলো উত্তোলন করছে পাথরখেকো চক্রের সদস্যরা।
স্থানীয় বাসিন্ধা ইব্রাহীম আলী, নজরুল ইসলাম, হারিছ আলী, ধনমিয়া সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, গত এক বৎসর হতে পাথরখেকো চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন ভাবে পাথর কোয়ারীর জিরো লাইন হতে পাথর সংগ্রহ করে। তাদের অভিযোগ, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদেরম ম্যানেজ করে তারা জিরো পয়েন্টকে সাবাড় করে দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই চক্রের বেশ কিছু সক্রিয় সদস্য বানের পানি নামার পর হতে নানা কৌশলে কোয়ারীর জিরো লাইন হতে পাথর উত্তোলন শুরু করেছে। বিষয়টি স্থানীঅয় প্রশাসনকে অবগত করা হলেও মাঝে মধ্যে ১০-১২দিন বন্ধ রেখে পুনরায় পাথর উত্তোলন শুরু করে দেয় তারা।
স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, জিরো লাইন এলাকা হতে পাথর উত্তোলন কালে বিভিন্ন সময় ভারতীয় খাসিয়ারা শ্রমিকদের গালি-গালাজ সহ তাড়িয়ে দিতে দেখা যায়। তাদের বাগান রক্ষায় তারা শ্রমিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। যে কোন সময় খাসিয়ারা গুলি করে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যারও আশংঙ্কা রয়েছে।
পাথরখেকো চক্রের সদস্যরা বড় বড় পাথর ভেঙ্গে কয়েক টুকরা করে এসব পাথরখন্ড শ্রীপুর চা-বাগান, খড়মপুর, সেলিম চৌধুরীর বাগান, মন্ত্রীবাগানের আশ-পাশ এলাকার ঝোঁপ জঙ্গলে মজুদ করে রাখে। পরবর্তীতে সময় সুযোগ বুঝে তারা উত্তোলিত পাথর গুলো ক্রাশিং মিলে প্রেরণ ও বিকক্রি করে দেয়। এভাবেই জিরো লাইন হতে পাথর উত্তোলন করছে চক্রটি।
শ্রীপুরের জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে পাথর উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ বলেন, শ্রীপুর পাথর কোয়ারী হতে পাথর উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক খতিয়ে দেখছি। সত্যতা পাওয়া গেলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জৈন্তাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপামনি দেবী বলেন, বিষয়টি শুনেছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে শ্রীপুর পাথর কোয়ারী পরিদর্শন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd