কানাইঘাটে ‘ক্লুলেস’ নাজিম হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

প্রকাশিত: ৬:৩০ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২২

কানাইঘাটে ‘ক্লুলেস’ নাজিম হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

Manual4 Ad Code

আমির হোসেন সাগর, নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের কানাইঘাটে সূত্রহীন (ক্লু-লেস) নাজিম হত্যা মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে পুুুলিশ। ঘটনার ৫দিনের মাথায় সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি এন্ড মিডিয়া) মো.লুৎফর রহমানের বিচক্ষণতায় ঘটনার প্রধান আসামী রুহেল আহমেদ রেকেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও হত্যাকান্ডের স্বীক্ষারোক্তি দিয়েছে গ্রেফতারকৃত আসামী।

জানা যায়,গত ১৩ জুলাই কানাইঘাটের রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের অন্তর্গত খালাইউরা নামক স্থানে সুরমা নদীর পাড়ে একটি অজ্ঞাতনামা মৃত দেহ পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে।পরে জানা যায় মৃতদেহটি নিজ রাজাগঞ্জ গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের পুত্র নাজিম উদ্দিনের।

Manual4 Ad Code

এই হত্যা রহস্য উদঘাটনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। তারমধ্যে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি এন্ড মিডিয়া) মো.লুৎফর রহমান ছিলেন।এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

মামলা দায়েরের পর থেকে কারণ খুঁজতে থাকে পুলিশ। কেন এই হত্যাকান্ড বা কিভাবে ঘটতে পারে এমন ঘটনা এমন নানা প্রশ্ন নিয়ে মাঠে নামেন সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি এন্ড মিডিয়া) মো.লুৎফর রহমান।নিজের মেধা ও দক্ষতা দিয়ে তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন।

Manual4 Ad Code

কানাইঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়েরের পর মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই দেবাশীষ শর্মাকে ঘটনার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আলামত উদ্ধারের জন্য প্রত্যক্ষ দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

Manual2 Ad Code

তার কৌশল অবলম্বন করে সিলেট জেলা পুলিশের তথ্য প্রযুক্তি ইউনিট ঘটনা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দিক বিশ্লেষন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই এলাকার মহরম আলীর পুত্র রুহেল আহমমেদ রেকেলকে সোমবার আটক করা হলে সে পুলিশকে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করে।

এ ব্যাপারে সিলেট জেলার অতিরিক্ত ‍পুলিশ সুপার (ডিএসবি ও মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান বলেন, ভিকটিম নাজিম ও রুহেল এর মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। মাঝে মধ্যে তারা বাইরে থেকে নারী এনে অসামাজিক কাজ করতো। ঈদ পরবর্তী সময়ে ভিকটিম নাজিম আসামি রুহেলকে পতিতা আনার জন্য বললে সে তা আনতে পারেনি। এক পর্যায়ে ভিকটিম নাজিম মেয়ে সংগ্রহ করতে না পারলে তার বন্ধু রুহেলের স্ত্রীকে নিয়ে আসার জন্য বলে। এ কথা বলার পর রুহেল এশার নামাজের ঠিক পরপর নদীর পাড়ে এসে দু জনে সিগারেট খাবার এক পর্যায়ে নাজিম রুহেলকে তার স্ত্রীকে আনার কথা জিজ্ঞাসা করলে পূর্ব হতে লুকিয়ে রাখা মুগর দিয়ে মাথায় একাধিকবার আঘাত করে। এতে নাজিমের মৃত্যু হয়। পরে নাজিমের সাথে থাকা নগদ টাকা ও একটি স্মার্ট ফোন নিয়ে যায় রুহেল।

Manual7 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..