সিলেট ১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৪৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২২
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক: বন্যায় বাড়ি-ঘর হারিয়ে এতিম দুই ভাই-বোন ১৭ দিন গাছের ডালে বাস করেছেন। ১৭ দিন মাঁচা বেঁধে থাকার পর এখন তারা এক প্রতিবেশির বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের ঢালাগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বোন জুলেখার বয়স (২২) ও ছোট ভাই রাকিবের বয়স (১৩)।
নিঃস্ব এই পরিবারটি প্রধানমন্ত্রীর ১০ হাজার টাকা সহায়তা পেয়েছে। এই সহায়তা পেয়ে তারা খুশি। তবে এ টাকা দিয়ে একটি ঘর নির্মাণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে তারা। এলাকাবাসী এতিম এ দুই ভাই-বোনের পাশে দাঁড়াতে বিত্তশালীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জানা যায়, শিমুলবাক ইউনিয়নের ঢালাগাঁও গ্রামে একটি মাঁচা বেঁধে বাস করত জুলেখা ও রাকিব। তাদের বাবা জবান আলী ও মা অনেক আগেই মারা গেছেন। এতিম দুই ছেলেমেয়ে সাহায্য সহায়তায় নিয়ে দিনাযাপন করে আসছে। বন্যায় ঘরের সব মালামালসহ মাথা গোঁজার ঠাঁইটি ভাসিয়ে নেয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়ে তারা। কোথায়ও আশ্রয় না পেয়ে বড় একটি গাছের ডালে আশ্রয় নেয়। এখানেই ১৭ দিন কাটে তাদের।
জুলেখা বলেন, হঠাৎ করে বন্যার পানি এসে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। আমরা দুই ভাই-বোন ভয়ে কাঁপতে থাকি। ১৭ তারিখ সকাল বেলা দেখি চোখের সামনেই বানের তোড়ে ঘরটি ভেসে যাচ্ছে। চারদিকে নৌকাও নেই। আশ্রয়ের কোন জায়গাও নেই। সবার ঘরে পানি। দিশেহারা হয়ে ভেসে যাওয়া বাঁশ, টিন, কাঠ ও ঘরের আসবাবপত্র কোন রকম ধরে পাশের একটি গাছের ডালে ওঠাই। এবং এখানেই দুই ভাইবোন মিলে মাঁচা বাঁধি। এভাবেই ১৭ দিন খেয়ে না খেয়ে থাকার পর দালান একটি বাড়িতে উঠি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘর নির্মাণের জন্য ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। কয়েকদিন পরে ঘর নির্মাণে হাত দেব।
শিমুলবাক ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান শাহিন বলেন, ‘অসহায় এ পরিবারকে চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু খাবার দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর ১০ হাজার টাকা হাতে পৌঁছে দিয়েছি এবং অন্য একটি বাড়িতে তাদের থাকার ব্যবস্থা করেছি। আমি নিজ উদ্যোগে এতিম ছেলে-মেয়ে দুটির থাকার জন্য মাটি ভরাট করে একটি ঘর তৈরি করে দেব।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd