পশুর বর্জ্য ১২ ঘণ্টায় অপসারণের দাবি করলেও এখনও পড়ে রয়েছে পশুর বর্জ্য!

প্রকাশিত: ১০:৪২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২২

পশুর বর্জ্য ১২ ঘণ্টায় অপসারণের দাবি করলেও এখনও পড়ে রয়েছে পশুর বর্জ্য!

Manual4 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক: সিলেট মহানগরীতে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার কোরবানির পশুর বর্জ্য মাত্র ১২ ঘণ্টায় অপসারণের দাবি করলেও সিটির বর্ধিত একটি এলাকায় বর্জ্য পড়ে রয়েছে। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা।

Manual5 Ad Code

জানা গেছে, ঈদের তৃতীয় দিন পার হতে চললেও সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্ধিত এলাকা (৩৮ নং ওয়ার্ড) তেমুখি-বাদাঘাট সড়কে সফাত উল্লাহ ফিলিং স্টেশনের পাশে কোরবানির পশুর বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওখানে ‘অবৈধ’ পশুর হাট বসানো হয়েছিলো। এসব বর্জ্য সিসিক কর্তৃপক্ষ কিংবা বাজার ইজাদাররা সরানোর ব্যবস্থা করেনি। ফলে স্থানীয় বাসিন্দা ও এ পথে চলাচলকারীরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

 

স্থানীয়দের অভিযোগ- মূল পশুর হাট ছিলো সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের খালিগাঁও নামক স্থানে। সফাত উল্লাহ ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী মো. হেলাল আহমদ ঈদ উপলক্ষে এই অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু পশুর হাটটি ওই জায়গা ছাড়িয়ে প্রায় দুই কিলোমিটারজুড়ে বসানো হয় এবং প্রত্যেক পশুর মালিকের কাছ থেকে টাকা নেন ইজাদাররা। কিন্তু হাট বসানোর ফলে স্তুপ হওয়া বর্জ্য অপসারণের উদ্যোগ নেননি সিসিক কর্তৃপক্ষ কিংবা ইজাদাররা।

এ বিষয়ে জানতে সিসিকের প্রশাসনিক ও পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা হানিফুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

পরে এ বিষয়ে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আজিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি জানা ছিলো না। এ বর্জ্যগুলো দ্রুত অপসারণের ব্যবস্থা করা হবে।

Manual2 Ad Code

 

Manual1 Ad Code

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার সিলেট নগরীর কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়- ২৪ ঘণ্টা সময় হাতে থাকলেও মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করতে সফল হয়েছে সিটি করপোরেশন।

সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ সাংবাদিকদের বলেন, ঈদের সকাল থেকেই পশুর হাটগুলোর বর্জ্য এবং দুপুরে নগরীর প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন বাসা-বাড়ির জবাইকৃত স্থান থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে ট্রলি, রিক্সা ভ্যান ও ময়লা বহনকারী ট্রাকে করে নির্দিষ্ট ডাস্টবিন ও নির্ধারিত স্থানে ডাম্পিং করা হয়। পরে সন্ধ্যার মধ্যে দক্ষিণ সুরমা এলাকার সিসিকের ডাম্পিং পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে নগরীর প্রধান সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ যেসব স্থানে কোরবানি করা হয়েছিলো, সেই সব স্থান পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নকরণ ও ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দূষণমূক্ত করা হয়। সিসিকের স্থায়ী-অস্থায়ী ১৪শ পরিচ্ছন্নতা কর্মী বর্জ্য অপসারণে দিনভর কাজ করেন।

Manual3 Ad Code

গতকাল তিনি জানান, বর্ধিত এলাকায়ও ঈদের দিন বর্জ্য অপসারণ করেছে সিসিক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) দেখা গেলো উল্টো চিত্র।

ক্রাইম সিলেট ডটকম/রায়হান

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..