সিলেট ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৩৭ অপরাহ্ণ, জুন ১১, ২০২২
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের মালনিছড়া চা-বাগানে ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম (৪২) হত্যাকা-ের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। শনিবার (১১ জুন) গ্রেপ্তারকৃতদের একজন মো. লিমন মিয়া (২০) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দিনগত রাতে মহানগর পুলিশ নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। শনিবার (১১ জুন) তাদেরকে বিচারিক হাকিম আদালতে প্রেরণ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার গাগুয়া গ্রামের মৃত শফিক মিয়ার ছেলে সোহেল আহমদ উরফে বাটার সোহেল (৪৫), সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার সাহেবেরবাজার এলাকার বদনছড়া গ্রামের মো. রফিক মিয়ার ছেলে মো. লিমন মিয়া (২০), এয়ারপোর্ট থানার বন্ধন-এফ-১০ এর মৃত হেলাল আহমদের ছেলে সাহেল আহমদ নয়ন (৩৫) ও তার ভাই রিপন আহমদ সেলিম (৩৩)।
গ্রেপ্তারকৃত চার আসামির মধ্যে মো. লিমন মিয়া হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। পূর্ব বিরোধের জের ধরে ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলামকে খুন করা হয়েছে।
শনিবার বিকেল চারটায় সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের এতথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গত ৪ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট-এয়ারপোর্ট সড়কের মালনীছড়া চা-বাগানের বাংলোর পার্শ্ববর্তী পাকা সড়কের পাশে চা-বাগানের ভেতর থেকে মনিরুল ইসলাম (৪২) নামের এক ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে করে বাসায় ফিরার পথে মনিরুলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
খুন হওয়া মনিরুল ইসলাম সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার বড়শালা এলাকার আহমদ হাউজিংয়ের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। নগরের খাসদবির এলাকায় তার একটি ওয়ার্কশপের ব্যবসা রয়েছে।
এ হত্যাকা-ের ঘটনায় গত ৬ জুন রাতে মনিরুল ইসলামের স্ত্রী হেনা বেগম বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের এয়ারপোর্ট থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় খুনের রহস্য উদঘাটন ও খুনীদের খুঁজে বের করতে কাজ শুরু করে পুলিশ। হত্যাকা-ের পাঁচ দিনের মাথায় এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মধ্যে লিমন নামের যুবক হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ফৌজধারী দ-বিধির ১৬৪ ধারায় মহানগর হাকিম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, গ্রেফতারকৃত চারজনের মধ্যে একজন লিমন স্বীকারোক্তি দেওয়ায় তার বক্তব্য রেকর্ড শেষে আদালত লিমনকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এ ছাড়া বাকি ৩ জনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছুই বলা যাচ্ছে না। পূর্ব বিরোধের জের ধরেই এ হত্যাকা- সংঘঠিত হয়েছে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd