প্রকৌশলী তুষার কান্তি’র বাড়ি ভারতে, চাকরি করেন সিলেটে

প্রকাশিত: ১০:১৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১

প্রকৌশলী তুষার কান্তি’র বাড়ি ভারতে, চাকরি করেন সিলেটে

Manual7 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বাড়ি তার ভারতে, চাকরি করেন সিলেটে। এমনই অভিযোগ সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের এক বড় কর্তার বিরুদ্ধে। অন্য একটি দেশের নাগরিক হয়েও বাংলাদেশ সরকারের একটি দায়িত্বশীল মন্ত্রণালয়ের অধীনে কিভাবে তিনি কাজ করছেন তা নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠেছে।

Manual8 Ad Code

রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠকে জানানো হয়, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের সিলেট জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উত্থাপিত হয় সংসদীয় কমিটিতে। সিলেটে থাকলেও প্রায় তিনি অবৈধভাবে ভারতে যাওয়া আসা করেন।

Manual7 Ad Code

ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা দুর্নীতিরও অভিযোগ। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিল সংসদীয় কমিটি। সচিব আর একজন যুগ্ম সচিবকে দিয়ে তদন্ত করেছেন। সেই তদন্তে তুষার কান্তি সাহাকে দোষীও করা হয়নি, আবার ছাড়ও দেওয়া হয়নি।

দায়সারাভাবে তদন্ত হওয়ায় প্রতিবেদনটি আমলে নেয়নি সংসদীয় কমিটি। এজন্য সচিবকে দিয়ে নতুন করে তদন্ত করাতে বলা হয়েছে। সচিব না পারলে অন্তত অতিরিক্ত সচিব মর্যাদার কাউকে দিয়ে তদন্ত করার কথা বলেছে সংসদীয় কমিটি। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এসংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সচিবকে বলা হয়েছে।

Manual5 Ad Code

বৈঠক শেষে এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্ত করে বলা যাবে। কীভাবে একজন সরকারি কর্মকর্তা অবৈধ পাসপোর্ট নিয়ে অন্য দেশে বসবাস করেন, এসব বিষয়ে তদন্ত করে বলা যাবে। আমরা সঠিক তথ্য জানতেই আবারও তদন্তের কথা বলেছি’।

Manual1 Ad Code

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অগ্রাহ্য করে ৫ প্রকল্পে পরিচালক হন তুষার কান্তি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অগ্রাহ্য করে পাঁচটি প্রকল্পে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহা।

২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারিতে সিলেট বিভাগের ৫৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি যখন তার প্রকল্পের অবস্থা সম্পর্কে বলতে শুরু করেন, তখন পরিকল্পনামন্ত্রী প্রশ্ন করেন, আপনি একজন ৫টি প্রকল্পের পিডি হলেন কিভাবে? জবাবে তিনি বলেন, এভাবেই তো চলছে স্যার। তখন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মানলে এটা করা যাবে না।

বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডির) সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়েজ উল্লাহ বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ৫০ কোটি টাকা বেশি ব্যয়ের একটি প্রকল্পে একজন পিডি থাকার কথা। তাহলে আপনি আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের ৫ প্রকল্পের পিডি হলেন কিভাবে? এর কোনো উত্তর দিতে পারেননি তুষার কান্তি সাহা।

তুষার কান্তি সাহা যেসব প্রকল্পের দায়িত্বে আছেন সেগুলো হল- বানিয়াচং-আজমেরিগঞ্জ সড়ক উন্নয়ন, বিমানবন্দর বাইপাস ইন্টারসেকশন-লালবাগ-সালুটিকর-কোম্পানীগঞ্জ-ভোরাগঞ্জ সড়ক জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ, গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ (সিলেট জোন), সিলেট শহর বাইপাস গ্যারিসন রোড টু শাহপরান সেতু ঘাট সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, জৈন্ত থেকে জাফলং পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন এবং সিলেট এলাকায় জেলা মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2021
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..