সিলেট ১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটে বেআইনী যৌনউত্তেজক ও ভুয়া দন্ত চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ, তৈরি ও বিপননের মূল হোতা দুদু মিয়া ও তার পুত্র আল-আমিন আহমদ। নগরের টার্মিনাল রোডের ফুটপাতে দৃশ্যত পিতা-পুত্রের খুচরা ব্যবসা থাকলেও অজ্ঞাতস্থানে রয়েছে তাদের এসব অবৈধ সামগ্রীর বিরাট গোদাম ও সমাহার। সেই গোদাম থেকে তারা নগরী, এমনকি সিলেট বিভাগের সর্বত্র বেআইনী যৌনউত্তেজক ও ভুয়া দন্তচিকিৎসার শতাধিক সামগ্রী সরবরাহ করে থাকে। নগরের দক্ষিণ সুরমা ও উত্তর সুরমার বিভিন্ন দোকান, প্রতিষ্ঠান, ফুটপাট, রাস্তাঘাট, কলোনী ও আবাসিক হোটেলসহ সিলেট বিভাগ জুড়ে রয়েছে দুদু মিয়ার বেআইনী যৌন উত্তেজক ও তার পুত্রের বেআইনী দন্ত চিকিৎসা সামগ্রীর বিক্রয় প্রতিনিধি। পতিতা পল্লী,পাপরাজ্য ও হোটেল মোটেলে গমনেচ্ছু কামুকরা এ সব বিক্রয় প্রতিনিধির কাছ থেকে চড়াদামে যৌনউত্তেজক সামগ্রী কিনে ব্যবহার করে থাকে। দুদু মিয়ার এ সামগ্রীকে যৌনকর্মে অধিক উত্তেজক, অধিক সময় ও অধিক তৃপ্তিদায়ক মনে করে কামুক যুবক ও মধ্যবয়েসীরা তার কাছে গিয়ে ভিড় জমায়।
অভিযোগে আরো প্রকাশ- দুদু মিয়ার ভ্যান দোকানের পাশেই দন্তচিকিৎসক সেজে টেবিল নিয়ে বসে থাকে তার পুত্র আল-আমিন আহমদ। ভুয়া দন্ত চিকিৎসক আল-আমিন আহমদ ‘হাইম্যান্স ইউনানী ল্যাবটরীজ লিঃ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ভুয়া ভিজিটিং কার্ড বানিয়ে নিজেকে ইউনানী দন্ত চিকিৎসক বলে প্রচার করে থাকে। আল আমীন আহমদের দন্ত চিকিৎসায় অনেক মানুষ মৃত্যুমূখে পতিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ-দুদু মিয়া ও তার পুত্র আল-আমিন কোন প্রকার লাইসেন্স ছাড়াই ভাসমান দোকানের আড়ালে বিভিন্ন ভুইফোঁড় প্রতিষ্ঠান থেকে আনা নিষিদ্ধ যৌনউত্তেজক ও বেআইনী দন্ত চিকিৎসা সামগ্রী বিক্রয় এবং বিপনন করে থাকে। এছাড়াও দুদু মিয়ার কাছে ইয়াবার চালানও আসে সিলেটের বিভিন্ন পথ দিয়ে। এহেন অনৈতিক ও অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে দুদু মিয়া কোটি-কোটি টাকা কামাই করে অল্প দিনে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হলেও বাহ্যত সে ও তার ছেলে নিছক ফুটপাত ব্যবসায়ী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার লোকজন জানান, দুদু মিয়ার সাথে রয়েছে একটি প্রভাবশালী মহলের গভীর সম্পর্ক। প্রায়ই ওই মহলের লোকজন তার ভ্যান দোকানে আসা যাওয়া করে ও বখরা নিয়ে থাকে। ফলে এলাকার সাধারন মানুষ ভয়ে কোন প্রতিবাদ করতে পারেন না। প্রতিবাদ করলে মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে থাকে দুদু মিয়া ও তার ছেলে আল-আমিন। দুদু মিয়ার সরবরাহকৃত যৌনসামগ্রী ব্যববহারে নানা রোগ-ব্যধির সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি এলাকায় অপরহণ ও ধর্ষণের মত অপরাধ প্রবনতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কিছুদিন পূর্বে দুদু মিয়া ও আল-আমিন আহমদের ভাসমান চিকিৎসালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় দুদু ও তার পুত্র পালিয়ে গেলে র্যাব সদস্যরা তাদের দোকান থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ যৌন উত্তেজক ও অবৈধ দন্ত চিকিৎসা সামগ্রী জব্দ করে। কিন্তু তা সত্বেও দুদু মিয়া ও তার পুত্র আল-আমিন আহমদ বেআইনী যৌনউত্তেজক ও ভুয়া দন্তচিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবসা অব্যাহত রেখে চলেছে। দেদার-ছে তারা এ অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে গেলেও অজ্ঞাত কারণে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাকারী সংস্থা নিরব ভুমিকা পালন করায় এলাকার জনমনে নেতিবাচক নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন-দুদু মিয়া ও তার পুত্র আল-আমিনের খুঁটির জোর কোথায় ?
এ বিষয়ে দুদু মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সে সাংবাদিকদের জানায়- আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অলিখিত অনুমোদন নিয়ে এবং তাদের ম্যানেজ করেই তারা দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসা করে আসছে।
এলাকার যুব ও তরুণ সমাজকে নৈতিক অবক্ষয় থেকে রক্ষার্থে স্থানীয়রা অবিলম্বে দুদু মিয়া ও তার পুত্র আল-আমিনের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd