সিলেট ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:২৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী, অস্ত্র ব্যবসায়ি জাহাঙ্গীর ওরফে মাউচ্ছা জাহাঙ্গীর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মারাত্মক সব অভিযোগ তুলে তার জীবন ধ্বংস করে দেয়ার আক্ষেপ করেছেন। তিনি বলেছেন, পত্র পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদকে পুঁজি বানিয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি ফজলুল হক, লক্ষীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রিয়াজুল কবির ও ডিবি’র ওসি দফায় দফায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এখনও প্রতিনিয়ত তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চলছেন। এ অবস্থায় তার বেঁচে থাকাটাই কষ্টকর হয়েছে মন্তব্য করে মাউচ্ছা জাহাঙ্গীর আত্মহত্যারও হুমকি দিয়েছেন।
সম্প্রতি দেশপত্রে ‘চন্দ্রগঞ্জের মাউচ্ছা জাহাঙ্গীর অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসী’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাপারে প্রতিবাদ জানাতে মাউচ্ছা জাহাঙ্গীর ঢাকায় দেশপত্র কার্যালয়ে এসে এসব কথা বলেন। তিনি এক পাতার লিখিত প্রতিবাদপত্রও জমা দেন। কিন্তু প্রতিবাদপত্রের সঙ্গে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করায় দেশপত্রে তার দেয়া প্রতিবাদটি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মাউচ্ছা জাহাঙ্গীর পত্র পত্রিকার প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার মতো নিরীহ একজন মানুষকে মিথ্যা সব প্রতিবেদনের মাধ্যমে লক্ষীপুর জেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী, জলদস্যু বানিয়ে দেয়া হয়েছে। আমাকে পরিচিত করা হয়েছে অস্ত্র ব্যবসায়ি হিসেবে। পত্রিকার এসব রিপোর্টকে পুঁজি বানিয়ে জেলার পুলিশ, ডিবিসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা আমাকে ব্যবহার করছে টাকা কামানোর মেশিন হিসেবে। চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি ফজলুল হক দু’দিন পর পরই জিজ্ঞাসাবাদের অজুহাতে থানায় ডেকে নিয়ে নিয়ে ২০ হাজার, ৩০ হাজার করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ডিবি’র বিভিন্ন টিমও দফায় দফায় আমাকে হেনস্তা করে টাকা লুটে নিচ্ছে। পিবিআই, র্যাবসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সকল টিম আমাকে হয়রানি করে শুধু টাকা খুঁজে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, শীর্ষ পর্যায়ের জলদস্যু, অস্ত্র ব্যবসায়ি মাউচ্ছা জাহাঙ্গীর মূলত: ভোল পাল্টে চাঁদাবাজির নতুন ফন্দি এঁটেছেন। তিনি পুলিশের চাহিদা মেটানোর কথা বলে হাটবাজার, নৌপথ ও ঠিকাদারী কর্মকান্ডের খাতে চাঁদার রেট বাড়িয়ে দিয়েছেন। তার নতুর রতুন অপরাধ অপকর্মের ফিরিস্তি এরইমধ্যে দেশপত্র দপ্তরে পৌঁছেছে। এসব ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের অভিমত তুলে ধরে অচিরেই বিস্তারিত প্রতিবেদন আকারে প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সূত্র- দেশপত্র
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd