সিলেট ২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৪৪ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০২১
ক্রাইম ডেস্ক :: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিলেট-৪ আসনের এমপি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের এপিএস হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার দাবি করে আসছিলেন শান্তা চৌধুরী নামে এক নারী। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের নজরে আসলে ওই নারীর দাবি মিথ্যা এবং বানোয়াট বলে ঢাকা মহানগরীর রমনা থানায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ওই শান্তা চৌধুরীর সন্ধানে নেমেছে। গুরুত্বের সাথে বিষয়টি তদন্ত করে শান্তার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাবে পুলিশ। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাতে সিলেটভিউকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার এসআই আলমগীর হোসেন মুজুমদার।
তিনি বলেন, বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। শনিবার বাদী পক্ষের সাথে কথা বলা হবে। এরপর শান্তা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে গত বুধবার শান্তা চৌধুরী নিজেকে সিলেট-৪ আসনের এমপি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের এপিএস পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। বিষয়টি নজরে আসার মন্ত্রী ইমরান একটি সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে প্রেরণ করেন। মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে প্রতারক নারী শান্তা চৌধুরী থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর শান্তা চৌধুরী নামক সেই নারী ফেসবুক থেকে তার মন্ত্রীর এপিএস দাবি করা স্ট্যাটাসটি ডিলেট করে ফেলেন।
এর আগে বুধবার তিনি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, ‘ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপিকে। আমাকে ২ বছরের জন্য এপিএস হিসেবে চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ দেয়ার জন্য।’
শান্তা চৌধুরীর ফেসবুক ওয়াল ঘেটে দেখা গেছে, তিনি তার আইডিতে নিজেকে BDAID-এর ভাইস চেয়ারম্যান, জাতীয় শ্রমিক লীগের সহসভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লেঙ্গুয়েজ’র সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এবং উত্তরা লেডিস ক্লাবের সদস্য হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তবে তিনি আসলেই এসব পদে আসীন আছেন কি-না, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শান্তার ফেসবুকে দেয়া তথ্য অনুযায়ী তিনি ঢাকায় বসবাস করেন।
উল্লেখ্য, শান্তা চৌধুরী নামক নারীর এপিএস দাবির ফেসবুক স্ট্যাটাসটি যখন সিলেটসহ সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করে তখন সতর্কবার্তা দিয়ে গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতদ্বারা সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, শান্তা চৌধুরী (https://www.facebook.com/ santa.chowdhury.75248) নামে একজন নারী ‘প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর চুক্তিভিত্তিক এপিএস হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে’ মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গত বুধবার একটি পোস্ট দিয়েছেন। যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। জনমনে বিভ্রান্তি নিরসনের লক্ষ্যে জানানো যাচ্ছে যে, শান্তা চৌধুরী নামের কাউকে মাননীয় মন্ত্রী চিনেন না এবং তার এপিএস হিসেবে নিয়োগও দেননি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মন্ত্রী ইমরানের এপিএস মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান। তাকে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও মন্ত্রী ইমরানের কোনো এপিএস নেই।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd