সিলেট ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:২৯ অপরাহ্ণ, মে ৭, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ছিনতাইর শিকার হয়ে নিজেই ধাওয়া করে ছিনতাইকারীকে আটক করেছেন সিলেট নগরীর কুমারপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম (৩০)। তিনি কুমারপাড়া পয়েন্টের মনাফ মিয়ার বাসার আহমদ হোসেনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে দক্ষিণ সুরমার তেতলী পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ছিনতাইকারীকে আটক করে নিয়ে যায়।
জানা গেছে, নগরীর কুমারপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম দক্ষিণ সুরমা থানাধীন ক্বীন ব্রীজের মুখ হতে বিশ্বনাথ বাজারে যাওয়ার জন্য একটি সিএনজি গাড়ীতে উঠেন। সিএনজি গাড়ীতে ড্রাইভারসহ ৩ জন যাত্রী বসা ছিল। সিএনজি গাড়ীটি কিছুক্ষণ যাওয়ার পর রাত অনুমান ৮ টা ২০ মিনিটের দিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ বাইপাস রোডের দিকে ড্রাইভার চালিয়ে ভিতরে দিকে যেতে থাকে। তখন রফিকুল ইসলাম সিএনজি ড্রাইভারকে বলেন, গাড়ী থামাও এদিকে কোথায় যাচ্ছ। বলার সাথে সাথে সিএনজি গাড়ীতে থাকা ৩ জন তার গলায় এবং পেটে চাকু ধরে, দুই হাত পিছন দিকে বেঁধে তার চোখে একটি কাপড় বেঁধে প্যান্টের বাম পকেট হতে Mi Redmi 3 মোবাইল সেট, নগদ ১২ হাজার টাকা ও সাথে থাকা একটি চা-পাতার বস্তা, যার মূল্য ৫ হাজার টাকা জোরপূর্বক ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নিয়ে যায় এবং তাকে সিলেট-সুনামগঞ্জ বাইপাস রোডের খানুয়া গ্রামের রাস্তার মুখে ফেলে দিয়ে সিএনজি গাড়ীটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দিকে যেতে থাকে।
তখন রফিকুল ইসলামের চিৎকারে মোটরসাইকেল আরোহী শাহাদাত আলী (২৭) তার মোটরসাইকেল থামালে, তিনি তাকে বিস্তারিত ঘটনা বললে, সে তাকে মোটরসাইকেলে নিয়ে সিএনজি গাড়ীটিকে ধাওয়া করে। তেতলী পয়েন্টে উপস্থিত লোকজনদের সহায়তায় সিএনজি গাড়ীর ড্রাইভার ছিনতাইকারী বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজার গহরপুরের শিপন আহমদকে (২৮) আটক করেন এবং অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ তেতলী পয়েন্টে উপস্থিত হলে আটককৃত আসামী এবং ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত সিএনজি গাড়ী, যার রেজি নং-সিলেট-থ-১২-৩৫৩৪ ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ১টি স্টীলের চাকু উদ্ধার করেন।
পুলিশ আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, সে এবং অজ্ঞাতনামা তার সহযোগী ছিনতাইকারীরা এই সিএনজি গাড়ীটি ব্যবহার করে সিলেট শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছিনতাই করে থাকে। আসামীদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ সুরমা থানার মামলা নং-০৫, তাং-০৭/০৫/২০২১খ্রিঃ, ধারা- আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২ (সংশোধনী ২০১৯) এর ৪/৫ রুজু করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd