সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:০৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : যে কারণে স্বামীর জন্য ঈ’মানদার স্ত্রী’ শ্রেষ্ঠ সম্পদ; হাদিসে সে বিষয়গুলো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুস্পষ্ট ভাষায় বর্ণনা করেছেন। তিনি পুরুষের জন্য ৪টি বিষয়কে শুভলক্ষণ বলেছেন।
আর তা হলো- নেককার নারী, প্রশস্ত ঘর, সৎ প্রতিবেশী এবং সহ’জ প্রকৃতির আনুগত্যশীল-পোষ্য বাহন। পক্ষান্তরে চারটি জিনিসকে কুলক্ষণা বলেছেন। তার মধ্যে একটি হলো বদকার নারী। (হাকেম, সহিহ আল জামে)
অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন ঈ’মানদার স্ত্রী’কে তার স্বামীর জন্য শ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। হাদিসটি তুলে ধ’রা হলো-হ’জরত ছাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘যখন এ আয়াত নাজিল হলো- ‘আর যারা সোনা-রূপা সঞ্চয় করে (আয়াতের শেষ পর্যন্ত); তখন আম’রা নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে কোনো এক সফরে ছিলাম।
তখন তাঁর এক সাহাবি বললেন, ‘এটাতো (আয়াত) সোনা-রূপা সর্ম্পকে নাজিল হলো। আম’রা যদি জানতে পারতাম কোন সম্পদ উত্তম, তবে তা সঞ্চয় করতাম।তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমাদের কারো শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো- ১. আল্লাহর জিকিরকারী রসনা ২. কৃতজ্ঞ অন্তর ৩. ঈ’মানদার স্ত্রী’
যে তার ঈ’মানের (দ্বীনের) ব্যাপারে তাকে (স্বামীকে) সহযোগিতা করে। (মু’সনাদে আহম’দ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মিশকাত)
হাদিসের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘মাজাহেরে হক’ এ হাদিসের অ’ত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা বর্ণনা করেছেন। এ হাদিসে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈ’মানদার স্ত্রী’র ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছেন। একজন ঈ’মানদার স্ত্রী’ তার স্বামীর জন্য সর্বোত্তম সম্পদও বটে।
দ্বীনের ব্যাপারে স্বামীকে সহযোগিতার ম’র্মা’র্থ হলো- ঈ’মানদার স্ত্রী’ ধ’র্মীয় কার্যক্রম ও দ্বীনি দায়িত্বসমূহ পালনের ক্ষেত্রে তার স্বামীকে সহযোগিতা করবে। যেমন- নামাজের সময় হলে তার স্বামীকে নামাজের কথা স্ম’রণ করিয়ে দেবে; রমজান মাসের রোজা রাখার ব্যাপারে স্বামীকে সহযোগিতা করবে।
অনুরূপভাবে একজন ঈ’মানদার স্ত্রী’ তার স্বামীকে ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি, পরিবারের আনুসাঙ্গিক কাজকর্মসহ অন্যান্য সব ইবাদত-বন্দেগিতেও স্বামীকে বুদ্ধি পরাম’র্শ ও উপদেশ দিয়ে যথাসাধ্য সহযোগিতা করবে।
ঈ’মানদার স্ত্রী’ বাড়িতে এমন পরিবেশ এবং আবহ সৃষ্টি করবে, যাতে স্বামী সারাক্ষণ পূণ্যকর্মে লিপ্ত থাকেন। অ’পকর্ম, অ’বৈধ উপার্জন এবং হারাম পেশা থেকে বিরত থাকেন।
এমনকি স্বামী যদি কোনো মন্দ কাজে লিপ্ত হন তবে ঈ’মানদার স্ত্রী’ তাকে সেই মন্দ কাজ থেকে ফিরিয়ে আনবে। অবাধ্য স্বামীকে মন্দ কাজ থেকে ফিরিয়ে আনতে তার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈ’মানদার নেক্কার স্ত্রী’কে স্বামীর জন্য সর্বোত্তম সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
আল্লাহ তাআলা মু’সলিম উম্মাহ সব নারীকে দ্বীনদার ও ঈ’মানদার হিসেবে কবুল করুন। পৃথিবীর সব মুমিন নারীকে নেককার সন্তান, নেককার স্ত্রী’ ও নেককার মা হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd