ইডেন কলেজে ছাত্রলীগ নেত্রীকে কোপালেন আরেক নেত্রী

প্রকাশিত: ৯:০৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০১৯

ইডেন কলেজে ছাত্রলীগ নেত্রীকে কোপালেন আরেক নেত্রী

Manual6 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বহিরাগতকে টাকার বিনিময়ে সিটে রাখাকে কেন্দ্র করে ইডেন মহিলা কলেজের এক নেত্রীকে কুপিয়েছেন ছাত্রলীগের আরেক নেত্রী। এ ঘটনায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

Manual1 Ad Code

শনিবার সকাল ৭টার দিকে কলেজের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কলেজের একাধিক ছাত্রলীগ নেত্রী জানান, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবা নাসরিন রূপা ফজিলাতুন্নেছা হলের ২১৯ নম্বর কক্ষে নাবিলা নামের একজন বহিরাগতকে টাকার বিনিময়ে রাখতেন। এ নিয়ে হলে অন্য নেত্রীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় রূপার।

একপর্যায়ে রূপা তাঁর অনুসারীদের নিয়ে অন্য নেত্রীদের ওপর হামলা করেন। এ সময় রূপা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য সাবিকুন্নাহার তামান্নার হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেন। তাৎক্ষণিক তামান্নাকে ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

Manual3 Ad Code

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘ইডেন কলেজের ছাত্রী সাবিকুন্নাহার তামান্নাকে সকালে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর হাতে দায়ের কোপ দেওয়া হয়েছে। তাঁর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবা নাসরিন রূপা হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার এমন কোনো সমর্থক নেই যারা অন্য রুমে গিয়ে হামলা করবে। কলেজের যুগ্ম আহ্বায়ক আনজুম আরা অনু ইডেন কলেজের ছয়টি হলে আমার সমর্থকদের গিয়ে মারধর করেছে। পরে রাজিয়া হলের ২০৮ নম্বর কক্ষে গিয়ে তাঁরা আমার একটি আইফোনসহ ১৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে।’

মাহবুবা নাসরীন রূপা আরো বলেন, ‘আমি প্রথমে খবর পেয়েছিলাম নাবিলাকে মারধর করেছে। খবর পেয়ে আমি গেলে তাঁরা আমার জামা-কাপড় ছিঁড়ে দেয়। বাইরে বের হওয়ার মতো অবস্থা ছিল না আমার।’ নাবিলা বহিরাগত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রূপা বলেন, নাবিলা তাঁর চাচাতো বোন এবং সে ইডেন কলেজের ডিগ্রির ছাত্রী ছিল।

Manual3 Ad Code

তবে আনজুমান আরা অনু দাবি করেন, তিনি সংঘর্ষের সময় ক্যাম্পাসে ছিলেন না, পরে আসেন।

ছাত্রলীগের পরবর্তী কমিটিতে পদপ্রার্থী এক নেত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করে বলেন, ‘কলেজে ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক এবং যারা যুগ্ম আহ্বায়ক রয়েছেন তাদের কারো ছাত্রত্ব নেই। তবুও তাঁরা হলে থাকেন। এসব নেত্রীর হলে সবার নিজ নিজ এরিয়া রয়েছে। যেখানে তাঁরা ক্যাম্পাস অথবা বহিরাগত মেয়েদের এনে টাকার বিনিময়ে রাখেন। যেই টাকা দেয় তাঁকেই হলে সিট দেওয়া হয়। হোক সে বহিরাগত বা কলেজের।’

এসব বিষয়ে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁরা ধরেননি।

Manual5 Ad Code

লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, কলেজে ঝামেলা হওয়ার কথা শুনে আমরা সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2019
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  

সর্বশেষ খবর

………………………..