রায়ের দিনে নুসরাতের কবরে ফুটেছে সাদা গোলাপ, ফেসবুকে ভাইরাল

প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০১৯

রায়ের দিনে নুসরাতের কবরে ফুটেছে সাদা গোলাপ, ফেসবুকে ভাইরাল

নুসরাতের কবরে সাদা গোলাপ ফুটেছে। ফেনীর সোনাগাজীর এই মাদরাসা শিক্ষার্থীকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন তোলে। আজ বৃহস্পতিবার ‘নজীরবিহীন’ দ্রুততায় নুসরাত হত্যা মামলার রায় প্রকাশ পাবে। রায় নিয়ে যেমন আলোচনা চলছে, তেমনিভাবে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে এই সাদা গোলাপ।

‘ফুল ফুটেছে রাফির কবরে, ফেনীর আদালত থাকবে সারা দেশের মানুষের নজরে’ কিংবা ‘নুসরাতের পবিত্র কবর আঙিনায় সাদা গোলাপ ফুল ফুটেছে শান্তির প্রতীক বার্তা নিয়ে। এ গোলাপ বলে দিচ্ছে কী রায় হতে যাচ্ছে…এ ফুলই আজকের ইঙ্গিত বাহক’- এ ধরনের স্ট্যাটাস দিচ্ছেন অনেকে।

এ হত্যাকাণ্ডে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছে পুরো দেশবাসী। ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে রায় ঘোষণা করতে পারেন। এ রায়কে ঘিরে ফেনীর আদালত চত্বর এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

নুসরাত হত্যা মামলায় ঘটনার মাত্র সাড়ে ছয় মাসের মধ্যে এবং মাত্র ৬১ কার্যদিবসে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার বিষয়টিকে ‘নজিরবিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন ফেনী বারের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা।

নুসরাত জাহান রাফির বাড়িতে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত প্রতিদিন নিরাপত্তার কাজে তিনজন করে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও মামলার রায়কে কেন্দ্র করে যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার মোকাবেলায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঘটনার মাত্র সাড়ে ছয় মাসের মধ্যে এবং মাত্র ৬১ কার্যদিবসে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার বিষয়টিকে ‘নজিরবিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন ফেনী বারের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২৭ জুন থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। মামলার ৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮৭ জন সাক্ষ্য দেন। বাকি চারজনের মধ্যে একজন বিদেশে থাকায় এবং তিনজনের সাক্ষ্য অন্য সাক্ষীদের সঙ্গে পুরোপুরি মিলে যাওয়ায় তাঁদের সাক্ষ্যগ্রহণের প্রয়োজন হয়নি।

গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তার মায়ের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে। পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গেলে নুসরাতকে মাদরাসার প্রশাসনিক ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..