সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:১৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে প্রেমিকার ভাই কর্তৃক নির্যাতনের এক দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুলেমান মিয়া (১৩) নামের এক কিশোর মারা গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে চিকিৎসাাধীন অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি পাশবিক নির্যাতনের শিকার হলে স্থানীয়রা গুরুতর আহতবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নিহত সুলেমান কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পূর্বফটিগুলি গ্রামের মৃত বাজিত মিয়ার ছেলে।
এঘটনায় নিহত সুলেমানের ভাই ইমান আহমদ বাদী এই ঘটনায় কুলাউড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত রেদওয়ান (২৫), তার বাবা আনু মিয়া (৬৫), মা পিয়ারা বেগম (৪০) ও তার বোন আছলিমা বেগম (১৫)-কে আসামী করা হয়। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) পুলিশ অভিযুক্ত রেদওয়ান বাদে সবাইকে আটক করেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্বফটিগুলি এলাকার আনু মিয়ার মেয়ে আছলিমা বেগমের সাথে একই এলাকার মৃত বাজিত মিয়ার ছেলে সুলেমান মিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শুক্রবার রাতে সুলেমান মিয়া আছলিমার সাথে দেখা করতে তার বাড়িতে যায়। এসময় আছলিমার বড় ভাই রেদওয়ান (২৫) তার বোনের সাথে সুলেমানকে দেখতে পেয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করে। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়রা এসে সুলেমানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখান থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
কর্মধা ইউনিয়নের মেম্বার মো. মাসুক মিয়া জানান, পূর্ব শত্রুতা থাকতে পারে। আমি ছেলেকে উদ্ধার করে দ্রুত মৌলভীবাজার হাসপাতালে ভর্তি করি। এরপর সেখান থেকে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম আর রহমান আতিক বলেন, অভিযুক্ত রেদওয়ান কর্তৃক সুলেমানকে মারধর করার বিষয়টি আমাদের এক ইউপি সদস্যের কাছ থেকে জানতে পারি। তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় সুলেমানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
তিন জনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত রেদওয়ানকে আটকের চেষ্টা চলছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd