বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়ক পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে

প্রকাশিত: ৭:৫৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৯

বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়ক পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে
মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ থেকে :: দুই দিকে নানান প্রজাতির গাছের সারি। মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে প্রায় ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সড়কটি। যে সড়কটি সবার কাছে ‘বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়ক’ নামে পরিচিত। সড়কটির দুই দিকের হাওরের জমিতে থাকা পানি সৃষ্টি করেছে কৃত্রিম লেক’র। যা এলাকার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করেছে কয়েকগুন। জমিগুলোর পানিতে ভাসমান কচুরীপানা বাতাসের সাথে সাথে হেলেধুলে যেনো এক নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রকৃতির এ সৌন্দর্য্যরে টানে প্রতিদিন বিকেল বেলা অবসর সময় কাটাতে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ আগমন ঘটে বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়কে। দিন দিন এর সৌন্দর্য্য পর্যটক এবং স্থানীয়দের আকৃষ্ট করার কারণেই দর্শনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি বা বেসরকারিভাবে একটু উদ্যোগ গ্রহন করলে এক নয়নাভিরাম পিকনিক স্পট হতে পারে ‘বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়কটি’। যা দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীদের টেনে আনতে পারে।
বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়কের পার্শ্বেই রয়েছে বিশ্বনাথ সরকারি ডিগ্রি কলেজ। নির্মিত হবে বিশ্বনাথ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন ও বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের কমপ্লেক্স। যেগুলো স্থাপন করার জন্য ইতিমধ্যে এলাকার দানশীল ব্যক্তিরা নিজেদের ভূমি দান করে দিয়েছেন। এছাড়া বিশ্বনাথ উপজেলার পার্শ্ববর্তি উপজেলা হিসেবে জগন্নাথপুর উপজেলার জনগণকেও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে এসড়কটি ব্যবহার করতে হয়। আর চলাচলের ক্ষেত্রে অনেকেই আবার নিজের অবসর সময়ের কিছুটা অংশ এখানে কাটান।
বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ছোট-বড় অসংখ্য যানবাহন চলাচল করলেও নেই কোন যানজট। তাই কোলাহলমুক্ত পরিবেশের কারণেই ‘বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়ক’টি হয়ে উঠেছে বিনোদনের কেন্দ্রস্থল। নির্মল বাতাস নিতে যে কোন বয়সে মানুষের জন্য একটি নিরাপদ স্থান হিসেবে সৃষ্টি হচ্ছে। গাছের ছায়ায় পাকাকরণকৃত সড়ক দিয়ে হাটতে হাটতে আর নিজের সাথে থাকা সঙ্গিদের সাথে গল্প করে যে কেউ কয়েক ঘন্টা কাটিয়ে দিতে পারেন এখানে।
কলেজ ছাত্র আবদুর রকিব বলেন, আমরা প্রতিদিন বিকেল বেলা নিজেদের অবসর সময়টুকু কাটানোর জন্য এখানে (বাইপাস সড়ক) চলে আসি। বন্ধু-বান্ধবরা মিলে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগ করে আর গল্প-গোজব করে সময় কাটাই। তবে সড়কের পাশে বসার ব্যবস্থা থাকলে সময়টা আরোও ভালো কাটতো সবার।
রিক্সা চালক ময়না মিয়া বলেন, প্রায় প্রতিদিনই আমি কাউকে না কাউকে এখানে নিয়ে আসি। যারা নিরব পরিবেশে নিজের অবসর সময়টুকু কাটানোর জন্য আসেন। এখানে এলে আমারও খুব ভালো লাগে।
ব্যবসায়ী রমজান আলী বলেন, কাজের ফাঁকে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজনকে এখানে ছুটে আসতে দেখি। কোলাহলমুক্ত পরিবেশ হওয়ায় অনেকেই আবার নিজেদের পরিবার-পরিজন নিয়েও বেড়াতে আসেন।
সংগঠক আবদুল কাইয়ুম বলেন, হাওরের পানিতে মাছ শিকার করা অনেক আনন্দের। এ রকমের শান্ত ও নির্মল পরিবেশ ফেলেতো আর কথা নেই। তাই কাজে ফাঁকে যখন সময় পাই চলে আসি।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

February 2019
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
232425262728  

সর্বশেষ খবর

………………………..