সিলেট ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৪১ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০১৮
মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ থেকে :: রামাদ্বান মাসে ইফতারে প্রিয় ইফতার নরম “খিচুড়ী”। বিশ্বনাথীরা দেশ-বিদেশের যে প্রান্তে থাকেন না কেনো ইফতারের সময় এক প্লেট খিচুড়ী খোজেন সবাই।খিচুড়ীর সাথে থাকে, তবে অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন ধরনের শাক ও সবজি দিয়ে তৈরি হয় স্পেশাল পিয়াজু। সাথে থাকে জিলাপিসহ বিভিন্ন মিষ্টান্ন সামগ্রী।
ইফতারের এ আয়োজন ঘরে ঘরে শুরু হয় যুহরের নামায আদায়ের সাথে সাথে, ঘরনীরা পিয়াজু তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ইফতারের ঠিক পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত এ প্রস্তুতি চলে। টেবিল সাজানো শেষ হলে ইফতারির আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।
ইফতারে যত বাহারি পদ থাকুক না কেন ‘নরম খিচুড়ি’ না থাকলে বিশ্বনাথীরা ইফতারই যেন থেকে যায় অসম্পূর্ণ। শত শত বছর ধরে সিলেটের বিশ্বনাথের মানুষ এই পদটি দিয়ে তাদের ইফতার করছেন। সিলেট বিভাগ ছাড়া দেশের অন্য কোথাও এরকম খিচুড়ি দিয়ে ইফতার করার প্রচলন খুব একটা নেই।
সারা দিন রোজা থাকার পর নরম খিচুড়ি দিয়ে ইফতার করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। রমজানে বিশ্বনাথের প্রতিটি ঘরে ইফতার হিসেবে রান্না করা হয় নরম খিচুড়ি।
সুগন্ধি চিকন চালের সঙ্গে গাওয়া ঘি, কালিজিরা ও মেথিসহ নানাজাতের মসলা দিয়ে রান্না করা হয় এ খিচুড়ি। অনেকে স্বাদে ভিন্নতা আনার জন্য খিচুড়িতে শাক ও সবজি দিয়ে থাকেন। কেউ কেউ ইফতারে শুধু খিচুড়ি খেয়ে থাকেন।আবার কেউ কেউ খিচুড়ির সঙ্গে মাংস, তারকারি ও ছোলা মিশিয়ে খান।
তবে যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন ইফতারের সময় সিলেটীদের পাতে নরম খিচুড়ি চাই-ই চাই। বাসা-বাড়ি ছাড়াও মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বড় বড় ইফতার মাহফিলেও রান্না করা হয় এরকম খিচুড়ি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd