সিলেট ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৯শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:২৪ অপরাহ্ণ, মে ৮, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাতের ফলে সিলেট অঞ্চলের আট নদীর পানি ১৩টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
মঙ্গলবার কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে জেলার কিছু স্থানে বিদ্যমান আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের রেকর্ড অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট ও সিলেট, কুশিয়ারার অমলশীদ, শেওলা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও মারকুলি, মনু নদীর মৌলভীবাজার, খোয়াই নদীর বাল্লা ও হবিগঞ্জ, সুতং নদীর সুতং রেলওয়ে ব্রিজ, কংস নদীর জারিয়াজঞ্জাইল, কালনী নদীর আজমিরিগঞ্জ এবং বাউলাই নদীর খালিয়াজুরি এলাকার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছিল।
এর মধ্যে কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশিদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৯ সেন্টিমিটার, শেওলায় ১০৭ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জে ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছিল
এছাড়া সুরমা নদীর পানি কানাইঘাটে বিপদ সীমার ৩৪ সেন্টিমিটার এবং সিলেট পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে আগামী ৪৮ ঘন্টায় সিলেট বিভাগের চার জেলায় এবং তৎসংলগ্ন ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরার অনেক স্থানে ‘মাঝারী থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার’ কথা বলা হয়েছে।
ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে বৃষ্টি হলে বাংলাদেশে নদ-নদীর পানি আরও বাড়তে পারে এবং সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ জেলার বিদ্যমান আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং সুনামগঞ্জ জেলার প্রধান নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি আগামী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। কোথাও কোথাও নতুন করে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া আগামী ৪৮ ঘণ্টায় নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জ জেলার বিদ্যমান আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির ‘কিছুটা উন্নতি’ ঘটতে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd