সিলেটের নারী সার্জেন্ট ‘হৈমন্তী’

প্রকাশিত: ৯:২৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০১৮


Manual5 Ad Code

ক্রাইম ডেস্ক :: আজ সকালে নতুন এক অধ্যায় যুক্ত হতে যাচ্ছে সিলেটে। সকালে ঘুম থেকে উঠে পথে নারী সার্জেন্টকে গাড়ির কাগজপত্র চেক করতে দেখে চমকে উঠবেন না যেনো। এখন থেকে নিত্যই এ দৃশ্য চোখে পড়বে সিলেটের পথে।

কখনও চৌহাট্টায়, কখনও আম্বরখানায় কখনওবা নাইওরপুল পয়েন্টে দেখা মিলবে নারী ট্রাফিক সদস্যের।

Manual7 Ad Code

কারণ আজ থেকে সিলেটের রাজপথ সামলানোর দায়িত্বে ভাগিদার হচ্ছেন পুলিশের নারী সদস্যরাও।

এক নারী সার্জেন্টের নেতৃত্বে ১০ জনের ট্রাফিক পুলিশের একটি দল এ দায়িত্ব সামলাবে।

Manual8 Ad Code

সিলেট মেট্রো পুলিশের (এসএমপি) ট্রাফিক বিভাগের প্রসিকিউশন ইনচার্জ আবু বকর শাওন বলেন, এসএমপির কমিশনার মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া ও উপ কমিশনার (ট্রাফিক) তোফায়েল আহমেদ এসএমপির ট্রাফিক বিভাগে নারী সদস্য যুক্ত করার বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন।

এ চ্যালেঞ্জ সফল হলে ভবিষ্যতে সিলেটের পথে আরো নারী সদস্যদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে দেখা যাবে।
ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ি থামানোর কাজটি চ্যালেঞ্জের মনে করলেও নিজের এ দায়িত্ব নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিতই মনে হল হৈমন্তী সরকারকে। সিলেটের প্রথম এ নারী সার্জেন্ট বললেন, পুলিশের পেশাটাই তো চ্যালেঞ্জিং পেশা, তার মাঝে ট্রাফিক সামলানোর দায়িত্বটা আরো চ্যালেঞ্জের।

Manual8 Ad Code

তবে এ চ্যালেঞ্জটাকেই জয় করতে চাই। হৈমন্তী সরকার সিলেট মেট্রো পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে যোগ দেন এক বছর আগে। মাঝে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলেন। সে ছুটি শেষে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসেন। হৈমন্তী সরকার নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার সাফল্য সরকার ও অনীতা সরকারের মেয়ে। তার স্বামী যীশু দেবনাথ পেশায় একজন ব্যাংকার।

Manual5 Ad Code

বছর দুয়েক ধরে বাংলাদেশে নারী ট্রাফিক সদস্যরা রাজপথ সামলাচ্ছেন। পুলিশ বাহিনীতে নারী সার্জেন্ট নিয়োগের এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিলো ২০১৪ সালে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..