সিলেট ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:২০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট নগরীর লালধীঘির পার এলাকায় গড়ে ওঠেছে আবাসিক ‘হোটেল সুপার।’ নামেই যেমন , কাজেও তার জুরি নেই। দীর্ঘদিন ধরে এই আবাসিক হোটেলে চলছে মদ, জুয়া ও নারী ব্যবসাসহ নানান ধরণের অসামাজিক কার্যকলাপ। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকেই এখানে শুরু হয় জুয়ার আসর। আর তার পাশাপাশি চলে এখানে সমানতালে মাদক সেবন ও নারী ব্যবসা।
নির্ভরযোগ্য এক সূত্র জানায়, হোটেল সুপার’র ভাড়াটিয়া জিয়ার সহযোগীতায় স্থানীয় থানার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তারা মোটা অংকের উৎকোছের বিনিময়ে প্রতিদিন চালিয়ে যাচ্ছে এসব কার্যকলাপ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, প্রত্যেকদিন হোটেলে অস্থানকারী, প্রত্যেক বোর্ডারের হোটেল রুম বুকিংয়ের সময় ছবি তোলার কথা থাকলেও উক্ত হোটেলে প্রায় সময় কোনো ছবি তোলা হয়না।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিন কম বয়সের পতিতা ছাড়াও কম বয়সী স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়ে হোটেল সুপারে আসতে দেখা যায়। তারা আবার এখানে এসে দু’চার ঘন্টা সময় কাটিয়ে চলে যায়।
অন্য আরেক ব্যবসায়ী জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যার পরের কথা বলে শেষ করার মতো নয়। আমরা শুধুই দেখেই যাচ্ছি, আমাদের করার কিছুই নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পুলিশ এসে হোটেল থেকে বকরা নিয়ে যেতে দেখা যায়।
সূত্র মতে, অবস্থানকারী বেশীর ভাগই টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাইকারী, ভাসমান অপরাধীসহ বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। এরই কারণে রাতের ট্রেনে বা বাসে আসা দূর-পাল্লার লোকজন হোটেলে অবস্থান নিলে বিভিন্ন ভাবে নাজেহাল হওয়ার অভিযোগ বিস্তর।
অনেকে বলেছেন, এসব হোটেলে অনেক ঘটনা ঘটলেও সাংবাদিক নামধারী কিছু দালালও পুলিশের অসাধু লোকদের যোগশাজসের কারণে খুনরে মতো ঘটনা ঘটলেও আলোর মুখ দেখেনা।
ধর্মপ্রাণ নাগরিকরা এসব হোটেলগুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-নজর কামনা করেছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd